বিক্ষোভ বিজেপির। নিজস্ব চিত্র।
জুভেনাইল হোমের আবাসিকাদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রতিবাদ করে আটক হলেন পুরুলিয়ার এক বিজেপি নেত্রী। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা ঘেরাও করে চলল বিজেপি-র বিক্ষোভ। পরে অবশ্য ওই নেত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার প্রতিবাদে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিজেপি মহিলা মোর্চার পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ভেস্তে গেল।
দিন কয়েক আগে পুরুলিয়ার শিমুলিয়ায় আনন্দ মঠ জুভেনাইল হোমের নাবালিকা আবাসিকরা আদালতে অভিযোগ জানায় যে হোমের সুপার এবং কর্মীদের সাহায্যে বাহিরাগতরা ঢুকে তাদের যৌন হেনস্থা করেছে। হোমের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলার পর জেলার পুলিশ-প্রশাসনকে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশে দেন বিচারক। তদন্তে নেমে ওই হোমের সুপার-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় স্তরে হইচই শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে আসরে নামে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা। বুধবার সকালে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সদস্যরা হোমের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে যান। অভিযোগ, বিজেপি-র প্রতিনিধিদলকে হোমে প্রবেশ করতে বাধা দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাতে হোম কতৃপক্ষ ও সেখানে মোতায়েন পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় জেলা বিজেপি-র মহিলা মোর্চার নেত্রী কাবেরী চট্টোপাধ্যায়ের।
হোমের এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কার্যালয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি নেয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্ত, সেই কর্মসূচির আগেই বুধবার সকালে কাবেরীকে আটক করে সদর থানার পুলিশ। এর পর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। যদিও বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
থানার বাইরে আন্দোলনে সামিল পুরুলিয়া জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা বলেন, “হোমের এই নিন্দনীয় ঘটনায় পুলিশ একটি অভিযোগ করেই চুপ রয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে এখনও আটক বা গ্রেফতার করেনি। তাই জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেটি যাতে না করতে পারি, সে জন্য আমাদের নেত্রীকে পুলিশ অনৈতিক ভাবে আটক করেছে।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন বলেন, “গোটা বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy