এক সঙ্গে: প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুরুলিয়ায়। নিজস্ব চিত্র
জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও সমিতিতে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য জিতলেও পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সে সব দখল করে নিচ্ছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ তুলে গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার উর্ধ্বাঙ্গ উন্মুক্ত করে মিছিল করল পুরুলিয়া বিজেপি। এ দিন দলের নেতা-কর্মীরা জামা খুলে খালি গায়ে পুরুলিয়া শহরে মিছিল করেন। খালি গায়ে কেন? বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুরুলিয়াতে প্রশাসন উলঙ্গ হয়ে পড়েছে। লুকোছাপা না করে খোলাখুলি সমর্থন করছে শাসকদলকে। প্রশাসনের এই উলঙ্গ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরতেই তাঁরা খালি গায়ে মিছিল করেছেন।
পুরুলিয়ায় এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ ভাল ফল করেছে বিজেপি। চারটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার পাশাপাশি ৫৯টি পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছিলেন তাদের প্রার্থীরা। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও সমিতিতে বোর্ড গঠন শুরু হওয়ার পরেই ফের সন্ত্রাস শুরু করেছে শাসকদল। দুষ্কৃতীদের সাহায্যে বোমা, গুলি ছুড়ে বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলি দখল করে নিচ্ছে। রঘুনাথপুর ১ ও পাড়া সমিতির উদাহরণ তুলে বিজেপির দাবি, পুলিশের সামনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়ে সেখানে বিজেপিকে বোর্ড গড়তে দেয়নি।
যে সমস্ত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে সেগুলিকে উত্তেজনাপ্রবণ অ্যাখ্যা দিয়ে বোর্ড গঠন স্থগিত করে দিয়েছে প্রশাসন, এমনই বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। জেলায় বর্তমানে চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ও তিরিশ শতাংশ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত আছে।
এ দিন দুপুরে পুরুলিয়া শহরের জুবিলি ময়দান থেকে মিছিল বার করে বিজেপি। শহরের একাংশ ঘুরে মিছিল শেষ হয়েছে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। বিজেপির দাবি, হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। মিছিলের সামনেই খালি গায়ে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, প্রদেশ কমিটির সদস্য বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের জেলার নেতারা। বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় প্রশাসন খোলাখুলি ভাবে শাসকদলকে পঞ্চায়েত ও সমিতিতে বোর্ড গঠনে সাহায্য করছে। জেলার গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ভাবে ভুলুন্ঠিত। তারই প্রতিবাদে প্রশাসনের উলঙ্গ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরতে এই মিছিল হয়েছে।” তবে বিজেপির অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তৃণমূলে জেলা সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালির বক্তব্য, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এখন পথেঘাটে নাটক করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy