প্রতীকী ছবি।
ফের বোমা উদ্ধার হল নানুরের আরও একটি গ্রামে। কয়েকদিন আগেই নানুরেরই চণ্ডীপুর গ্রামের দুটি জায়গা থেকে প্রায় ৭০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ দিন নানুরেরই ভাসামাঠ গ্রামের দাসপাড়া সংলগ্ন একটি নয়ানজুলির ধার থেকে দুটি প্ল্যাস্টিকের ড্রাম ভর্তি প্রায় শতাধিক বোমা উদ্ধার হয়। নানুরে বোমা উদ্ধারের ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। মূলত গ্রাম তথা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির ইতিহাস দীর্ঘ দিনের।
কোথাও বালির ঘাটের দখল কোথাও বা ধানচালের আড়তে তোলাবাজির জন্য একই ঘটনা ঘটেছে সেই বাম আমল থেকে। আর ধারাবাহিকভাবেই বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে গোলাগুলি। একসময় ওই লড়াই ছিল মূলত সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের। বাম শরিকদের নিজেদের মধ্যেও লড়াই হয়েছে। পরবর্তী কালে চিত্রটা বদলায়। তৃণমূলেরই প্রাক্তন যুব নেতা কাজল সেখের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলের বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার অনুগামীদের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরে নানুরের বিভিন্ন এলাকা তো বটেই, দুই গোষ্ঠীর গোলাগুলির লড়াইয়ে তেতে উঠে নানুর বিধানসভা কেন্দ্রেরই বোলপুরের বেশ কিছু এলাকা। হতাহতের ঘটনাও ঘটে। উদ্ধার হয় বোমাও। দলেরই একাংশ জানিয়েছেন, তলায় তলায় গোষ্ঠী কোঁদলের চোরাস্রোত বইছে। এর আগেও ভাসামাঠ সংলগ্ন এলাকায় দুই গোষ্ঠীর গোলাগুলির লড়াই হয়েছে। একই সঙ্গে এ দিন নানুরেরই সাওতা গ্রামের তৃণমূলের একটি কার্যালয় থেকে বোমাও উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এবং তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ মানেনি। গদাধর হাজরা বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কার্যালয় থেকে বোমা উদ্ধারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভাসামাঠ গ্রামে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এলাকা দখলের জন্য বোমা মজুত করেছিল।’’ সিপিএমের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আনন্দ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গোলাগুলির রাজনীতি তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওরাই বোমা মজুত করেছিল।’’
পুলিশ জানায়, বোমাগুলি কী কারণে মজুত করা হয়েছিল দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy