Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

তিন কোটির মেলার বাজেট ছেঁটে ৬৪ লক্ষ

মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে এ কথা জানান, বিষ্ণুপুর মেলা কমিটির সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম বৈঠকে বাজেট রাখা হয়েছিল তিন কোটি টাকা। কিন্তু মেলা কমিটির আর্থিক পরিস্থিতি করুণ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
Share: Save:

কমে গেল ৩১তম বিষ্ণুপুর মেলার বাজেট। ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। পরের বৈঠকেই তা কমে হল ৬৪ লক্ষ টাকায়।

মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে এ কথা জানান, বিষ্ণুপুর মেলা কমিটির সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম বৈঠকে বাজেট রাখা হয়েছিল তিন কোটি টাকা। কিন্তু মেলা কমিটির আর্থিক পরিস্থিতি করুণ। তাই বাজেট কমিয়ে ৬৪ লক্ষ টাকায় রাখা হচ্ছে।’’ অরূপবাবুর দাবি, তিন বছর আগে মেলা সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ মেটানো হয়েছে। তারপরের বছর মেলা কমিটির হাতে ছিল ২৬ লক্ষ টাকা। গত বছর ৮০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ৬৫ লক্ষ টাকায় মেলা শেষ হয়। হাতে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে এ বার তাঁরা মেলা করতে যাচ্ছেন।

তাহলে এ বার মেলার বাজেট এক লাফে তিন কোটি ঘোষণা করা হয়েছিল কেন? অরূপবাবু দাবি করেন, ‘‘প্রথমে আমরা আশা করেছিলাম বিভিন্ন দিক থেকে অর্থ আসতে পারে। কিন্তু, নানা কারণে সেই অর্থ আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি।’’ তিনি বিষ্ণুপুর মেলা কমিটির সদস্যদের কাছে প্রস্তাব দেন, এক হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা, যাঁর যা সামর্থ্য রয়েছে, তা দিয়ে মেলা কমিটির তহবিল গড়া হোক। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তহবিল গড়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, ‘‘নন্দলাল মন্দিরের পাশে মূল মঞ্চ যদুভট্ট মঞ্চ ছাড়াও পোড়ামাটির হাটের রামানন্দ মঞ্চ ও বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠের গোপেশ্বর মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পোড়ামাটির হাটে থাকছে যামিনী রায় আট গ্যালারি। বিষ্ণুপুরের বালুচরী, কাঁসা, শঙ্খ, দশাবতার তাস, ডোকরা, টেরাকোটা-সহ বিভিন্ন হস্তশিল্পীরা শিল্প সম্ভার নিয়ে মেলায় হাজির হবেন। তাঁরা মেলা চত্বরে বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী তৈরিও করবেন।’’ তিনি জানান, হস্তশিল্পের প্রসারের সঙ্গে শিল্পীদের বাজার পাইয়ে দেওয়ার বিষয়কে এ বার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিষ্ণুপুর থানার আইসি আস্তিক মুখোপাধ্যায় জানান, সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা) ছাড়াও ড্রোন উড়িয়ে চলবে নজরদারি। তিনটি মাঠে তিনটি নজরদারি টাওয়ার তৈরি করা হবে। কিছু কিছু রাস্তায় সাময়িক ভাবে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে দর্শনার্থীদের সুবিধা করে দেওয়া হবে। বিষ্ণুপুর তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল জানান, কলকাতা এবং মুম্বইয়ের শিল্পীরা আসবেন। একই সঙ্গে স্থানীয় শিল্পীরাও সমান সুযোগ পাবেন অনুষ্ঠান করার। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন মেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রবীণ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ বিষ্ণুপুরের উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ। তবে, মেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৪০০ হলেও, দেড়শো-দু’শোর বেশি সদস্য হাজির ছিলেন না। এ বারও বিষ্ণুপুর মেলা হতে যাচ্ছে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fair Budget Bishnupur Mela 2018
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE