Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পুড়ল বাস, পথে নেমে ফের দুর্ভোগ 

বাসে কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি। এ দিকে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে বাস চলাচল। তাতে আরও এক বার ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আগুন নেভাচ্ছে দমকল। রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

আগুন নেভাচ্ছে দমকল। রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৬
Share: Save:

স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা আস্ত একটি বাস পুড়ে গেল রাতে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হল আরও একটি বেসরকারি বাস। বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার মালিকেরা জানিয়েছেন, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা আরও কয়েকটি বাসও পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দ্রুত বাসগুলি সরিয়ে নেওয়ায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা মিলেছে।

বাসে কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি। এ দিকে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে বাস চলাচল। তাতে আরও এক বার ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদে ভোটের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল বাস। বিজেপি, তৃণমূলের পর পর জনসভার জন্যেও তোলা হয়েছিল বাস। তাতে দুর্ভোগের শেষ ছিল না।

জাতীয় সড়কের ধারে বাসস্ট্যান্ডে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে বলে খবর। তখন সুনসান ছিল এলাকা। অনেকেরই অনুমান, যে ভাবে বাস জ্বলছিল, তাতে বাইরের কেউ আগুন লাগিয়ে দিতেই পারেন। রামপুরহাট থানায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের মালিক অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার সকালে তদন্তের দাবিতে বন্ধ রাখা হয় বাস। পাঁচ ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তত সময়ে যা দুর্ভোগ হয়ে গিয়েছে।

পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস মালিকদের জানানো হয়েছে ঠিক কী হয়েছে তদন্তে দেখা হবে।

শুক্রবার সকালে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডে বাস মালিক সমিতির অফিসে রামপুরহাট পুরপ্রধান এবং রামপুরহাট মহকুমা সহকারি পরিবহণ আধিকারিক সহ রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বাস মালিকরা পুরপ্রধানকে বলেন, ‘‘স্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা এখনও গড়ে তোলা হয়নি। এলাকা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা না থাকায় সুরক্ষিত নয়।’’ সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবিও জানায় বাস মালিক সমিতি। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন বাস মালিকেরা।

বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সম্পাদক জামারুল ইসলাম জানান, বাসস্ট্যান্ডে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। পুলিশ, প্রশাসনের কাছে একাধিক বার বাসস্ট্যান্ডে রাতের দিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। নেভাতে প্রথম দিকে অসুবিধা হয়। পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস মালিক সমিতিকে নিজেদের অফিসে বেশ কয়েকটি অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি অবশ্য জানান, বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাঁচিল খুব শীঘ্রই ঘিরে দেওয়া হবে। পানীয় জলের সুষ্টু ব্যবস্থারও আশ্বাস দেন তিনি।

রামপুরহাট মহকুমা সহকারি পরিবহণ আধিকারিক স্মরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য পুরপ্রধানকে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, বাসটি বহু পুরানো। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যেও আগুন ধরে থাকতে পারে। তবু ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bus Fire Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE