Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বদল

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তৃণমূলের প্রার্থী বদল হল রঘুনাথপুর ও বিষ্ণুপুরে। রঘুনাথপুরে দু’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে শাসকদল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দোলন সরকারের বদলে প্রার্থী করা হয়েছে অবলা বাউরিকে। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পায়েল বাউরির পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন তরণী বাউরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর ও রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৮
Share: Save:

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তৃণমূলের প্রার্থী বদল হল রঘুনাথপুর ও বিষ্ণুপুরে।

রঘুনাথপুরে দু’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে শাসকদল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দোলন সরকারের বদলে প্রার্থী করা হয়েছে অবলা বাউরিকে। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পায়েল বাউরির পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন তরণী বাউরী। রবিবার শাসকদলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। কিন্তু, পুরসভার কর্মী হওয়ায় দোলনদেবী পুরনির্বাচনের আইন অনুযায়ী প্রার্থী হতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরেই। ও দিকে পায়েল বাউরির ভোটপ্রার্থী হওয়ার মত বয়স হতে আরও কয়েকমাস বাকি রয়েছে বলে দল জানতে পারে। সে জন্যই ওই দু’জনকে আর প্রার্থী করা হয়নি।

তবে বিরোধীদের দাবি, ওই দুই ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই শেষ মুহূর্তে এ ভাবে প্রার্থী বদল করতে হয়েছে। রঘুনাথপুরে তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির দুই সদস্য প্রণব দেওঘরিয়া ও মৃত্যুঞ্জয় পরামানিক অবশ্য বলেন, “প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যে কোথাও বিরোধ নেই। পুরসভার কর্মী হওয়ায় দোলন সরকারকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রার্থী করা যাবে না জানার পরেই সেখানে অন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আর বয়সজনিত কারণেই ১২ নম্বরে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।”

শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বদল হয়েছে বিষ্ণুপুরেও। বুধবার, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন প্রার্থী তালিকা বদলে ফের বিষ্ণুপুর পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হলেন দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা উদয় ভকত। দলের কোন্দলে গতবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতা উদয়বাবুর নাম বাদ পড়েছিল। এ বার তিনি নিজের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট পেলেন। বিষ্ণুপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই ওয়ার্ডে সন্দীপ চন্দকে প্রথমে প্রার্থী করা হয়েছিল। দলের উপরতলার নির্দেশে এই পরিবর্তন।” প্রার্থীপদ ফিরে পেয়ে খুশি উদয়বাবু বলেন, “আমি আমার সর্বোচ্চ নেত্রীকে মাথায় রেখে দলটা করি। জানতাম, তাঁর কাছ থেকে সঠিক বিচার পাব। সেটাই হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE