Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ছটে ঘাট সাফাই, আলো লাগাল প্রশাসন

সিউড়ি পুরসভার বড়কালী মন্দিরের সামনের পুকুরে প্রতি বছর পুণ্যার্থীরা ছট পুজো করেন। পুজো দেখতে অনেক দর্শনার্থী ঘাটগুলিতে ভিড় করেন।

কলার কাঁদি সাজাতে ব্যস্ত দোকানি। সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

কলার কাঁদি সাজাতে ব্যস্ত দোকানি। সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৩
Share: Save:

ছটপুজোয় পুণ্যার্থীরা যাতে কোনও সমস্যার মুখে না পড়েন সে জন্য উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।

সিউড়ি পুরসভার বড়কালী মন্দিরের সামনের পুকুরে প্রতি বছর পুণ্যার্থীরা ছট পুজো করেন। পুজো দেখতে অনেক দর্শনার্থী ঘাটগুলিতে ভিড় করেন। কারও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে জন্য সেখানে ঘাট পরিষ্কার, আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। পুরপ্রধানের সংযোজন, ‘‘শহরে অনেক অবাঙালি পরিবার বাস করে। আগে ছট পুজোর সময় তাঁরাই ঘাট পরিস্কার করে নিতেন। কিন্তু পুরসভারও কিছু দায়িত্ব থাকে, সেটা এ বার তারা পালন করেছে।’’ দুবরাজপুরের রঞ্জনবাজার, ডাকবাংলোপাড়া এবং নায়কপাড়া পুকুরে পালিত হয় ছট। ঘাট পরিষ্কার করে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করে পুরসভা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ায় সেই পরিষেবা এ বার মিলবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তা ছিল এলাকাবাসীর। তবে বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলছেন, ‘‘ঘাটগুলি যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে এবং আলো লাগানো হয় সেই ব্যবস্থা করা গিয়েছে।’’

ছটপুজোর আগে রামপুরহাটের গাঁধীপুকুর সহ শহরের অন্য ছট ঘাটগুলিও সেজে উঠেছে। পুরসভার উদ্যোগে ঘাটে জঞ্জাল সাফাই, আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামপুরহাট শহরে ছটপুজোর সব চেয়ে বেশি ধুমধাম হয় গাঁধীপুকুর এলাকায়। রামপুরহাট জাগৃতি ক্লাব ও আজাদ হিন্দ ক্লাবের সদস্যরা ছট ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। রামপুরহাটের উপ-পুরপ্রধান সুকান্ত সরকার জানান, ছট ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাঁধী পুকুরে পাম্পের মাধ্যমে জল ভরাট করা হয়েছে। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, গাঁধীপুকুরে দেড়শোর বেশি ছট ঘাট রয়েছে। রামপুরহাট শহরে গাঁধী পুকুর ছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, চালধোয়ানি পুকুর, লোটাস প্রেস মোড়ে আড়ম্বরে ছট পুজো করা হয়।

ছটপুজোর জন্যে সেজে উঠেছে নলহাটিও। নলহাটি পুরসভা ও ছট পূজো কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দু’টি পুকুরে অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। আলোয় সেজেছে পুকুর চত্বর।

পঞ্জিকা মতে, ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সূর্যাস্ত বিকেল ৪টে ৫০ মিনিটে। পুণ্যার্থীরা সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে পুজো করবেন। পরের দিন সূর্যোদয়ের (ভোর ৫টা ৫৪ মিনিট) আগে ফের ঘাটে এসে সূর্যপ্রণাম করে পুজো করা হবে। নলহাটি শহরের দু’টি পুকুরে ছটপূজো হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকপল্লির শিবপুকুর এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারপুকুরে। নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিষ্ণু ভকত বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে পুকুর সংস্কার করে ঘাট বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে মৌচাক মোড় থেকে রাস্তায় আলপনা আঁকা শুরু হবে।’’ আয়োজক একটি ক্লাবের সদস্য অনিল গুপ্ত বলেন, ‘‘পুজো উপলক্ষে সূর্যদেবতার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।’’

পুরপ্রধান অনিল সিংহ বলেন, ‘‘মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পুজো দিতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ বোলপুরে মূলত শুড়িপুকুর, কুমোরপুকুর এবং কালীপুকুরে মঙ্গলবার ছটপুজোর ঘাট হবে। আলো এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ঘাটগুলি। বেশ কিছু পাড়ার রাস্তাতেও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার সারা দিন ফল বিক্রেতারা ব্যস্ত ছিলেন। কলার কাঁদি, আঁখ বিক্রি হয়েছে প্রচুর। প্রশাসন জানায়, কালীপুকুরে গত বছর থেকে ছটপুজোর ঘাট হচ্ছে। সে জন্য ওই এলাকার কালীপুজোর উদ্যোক্তারা ছটপুজো পেরিয়ে যাওয়ার পর কালী মূর্তি বিসর্জন করেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chhath Puja Celebration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE