Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাঁড়িতে কী, অসুস্থ শিশুরা

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদাগড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট শিশুর সংখ্যা ৮০। এ দিন ভাত, ডিমের ঝোল, আলু-সোয়াবিনের তরকারি রান্না করা হয়েছিল।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০২:০৩
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খাবার খেয়ে কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ল রঘুনাথপুর শহরে। শুক্রবার সকালে রঘুনাথপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদাগড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। ভাতে মৃত টিকটিকির দেহাংশ থাকাতেই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ দফতরের দাবি, ওই শিশুরা বিষাক্ত কিছু খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে মনে হয় না। সে রকম কোনও লক্ষণও তাদের মধ্যে ছিল না। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৯ জন শিশুকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং ১৪ জন শিশুকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদাগড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট শিশুর সংখ্যা ৮০। এ দিন ভাত, ডিমের ঝোল, আলু-সোয়াবিনের তরকারি রান্না করা হয়েছিল। অনেকেই কেন্দ্রে বসে থাবার খায়। অনেকে আবার খাবার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়েই এক অভিভাবক দাবি করেন, রান্না করা ভাতের মধ্যে মৃত একটি ছোট টিকটিকির দেহাংশ পড়ে রয়েছে। এরই মধ্যে খবর আসে, কয়েকজন শিশু খাবার খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকবার বমি করে কয়েকটি শিশু। সবাইকে অভিভাবকেরা নিয়ে যান রঘুনাথপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

এ দিকে ঘটনার খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় ও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ দাস। ভবেশবাবু জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে যে কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন এমন ঘটল তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রিয়া বাউরি, আস্তিক মেট্যাদের অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার খেয়ে ওরা বাড়ি আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।’’

আরেক অভিভাবক শ্যামল বাউরি বলেন, ‘‘আমার দুই সন্তান খাবার খেয়েছিল। তাদের মধ্যে মেয়ে বমি করতে শুরু করায় দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ ওই ব্লকের সিডিপিও অরুণাভ মাইতি বলেন, ‘‘অসুস্থ হয়ে পড়া শিশুদের মধ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাহলে ওরা কেন অসুস্থ হয়ে পড়ল, আমরা খতিয়ে দেখছি।”

তবে চাঁদাগাড়িয়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোনও নিজস্ব পাকা বাড়ি নেই। রান্না চলে পাশের প্রাথমিক স্কুল চত্বরে ফাঁকা জায়গাতেই। সে কারণে রান্না তৈরির সময়ে হাঁড়িতে কিছু পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন অভিভাবকদের একাংশ।

বিকেলে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) দেবময় চট্টোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ওই কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE