সদ্যোজাতের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে। মৃত শিশুর পরিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। মেডিক্যালের সুপার শুভেন্দুবিকাশ সাহা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তালড্যাংরার তিলাঘাগরির বধূ দীপালি রায় বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়া মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। রাতেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। দিপার স্বামী লক্ষ্মীকান্ত রায়ের দাবি, শিশুটি সুস্থ ভাবেই জন্মেছিল। রবিবার দুপুরে তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন হাসপাতালের এক নার্স। সমস্যা শুরু হয় তার পর থেকেই। লক্ষীকান্তবাবু বলেন, “ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই বাচ্চাটি টানা কাঁদতে থাকে। আমরা ঘটনাটি নার্সদের গিয়ে জানাই। তাঁরা বলেন এমনটাই নাকি স্বাভাবিক।’’
লক্ষ্মীকান্তর দাবি, রবিবার রাত থেকে বাচ্চাটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। তাঁর অভিযোগ, সেই সময়ে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। ঘটনাটি নার্সদের জানানো হলে তাঁরাও আমল দেননি। সোমবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। লক্ষীকান্তর আক্ষেপ, “বাচ্চাটা ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর থেকে সমানে কেঁদে চলল, কিন্তু কোনও ডাক্তার বা নার্স দেখতে এলেন না। রাতে শিশুটির বাড়াবাড়ি হচ্ছে দেখে নার্সদের ডাকতে গিয়ে দেখি ওঁরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। আমার কথার কেউ আমলই দিলেন না।” ওই দম্পতির এটিই প্রথম সন্তান ছিল। দিপালী বলেন, ‘‘নার্স বা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গুরুত্ব দিলে হয়তো শিশুটিকে বাঁচানো যেত।’’
বাঁকুড়া মেডিক্যালের সুপার শুভেন্দুবাবু বলেন, “শিশু মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গড়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ঠিক কী ভাবে ওই শিশুর মৃত্যু হল তদন্তের পরেই তা বলা যাবে।”
শুভেন্দুবাবু জানান, রবিবার ওই শিশুকে একটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে শিশুর কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, ‘‘ওই শিশুর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy