ভাঙচুর: ভাঙা বেঞ্চ (বাঁ দিকে), জমায়েত ঠেকাতে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে প্রধান শিক্ষকের জড়িত থাকার অভিযোগ ঘিরে শনিবার নলহাটির একটি স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল। প্রধান শিক্ষকের ঘরের একাংশ এবং অফিসের সামনের চেয়ার, বেঞ্চ ভাঙচুর হয়। পড়ুয়া, অভিভাবকদের বিক্ষোভে এগারোটা থেকে দুপুর দুটো— তিন ঘণ্টা কার্যত বন্দি ছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। দুপুর দেড়টা নাগাদ রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নির্যাতিতা ছাত্রীর থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক বাচ্চু সাহু, অসীম দত্ত, তপন সেন, মদন দাসদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়ালে স্কুল চালাচ্ছেন। অনেকের সঙ্গেই সুসম্পর্ক নেই। অভিভাবকদের প্রধান অভিযোগ অবশ্য ছাত্রীদের প্রতি প্রধান শিক্ষকের ব্যবহার নিয়ে। অভিভাবকদের কথায়, ‘‘উনি ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। সব কিছু ছাপিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের ঘরে ডেকে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।’’ দুপুর একটা নাগাদ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পড়ুয়া এবং অভিভাবক মিলেয়ে হাজারখানেক লোক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে উঠছে শ্লোগান। অফিস ঢোকার দরজায় পাথর, ইট পড়ে আছে। অফিসের বাইরে বেশ কিছু বেঞ্চ, চেয়ার ভাঙা পড়ে। সে সবের মাঝে অভিযুক্ত শিক্ষক এক কোণে চেয়ারে বসে আছেন।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই মানেননি তিনি। তাঁর যুক্তি, ‘‘কী ঘটেছে না ঘটেছে, সমস্ত কিছুই সিসি ক্যামেরায় আছে। সেই ছবি আন্দোলনকারীদের একাংশ শুক্রবার দেখেও গিয়েছেন।” পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার স্কুল শুরুর পরে তাঁর অফিসে জনা তিরিশেক লোক ঢুকে পড়ে। তার পরেই ভাঙচুর হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আট বছর প্রধান শিক্ষক পদে আছি। সময় মেনে স্কুলে শিক্ষকদের আসা, যাওয়া চালু করেছি। স্কুলের পঠনপাঠনও ভাল হচ্ছে। এটা অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। তাই মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সবার কথাই শোনা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy