প্রতীকী ছবি।
ব্লক ছাত্র-যুব উৎসবে গরহাজির খোদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতি! তাঁদের অনুপস্থিতির নেপথ্যে দলীয় ‘কোন্দলের’ ছায়া দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার সরবড়ির পঞ্চকোট কলেজে শুরু হয়েছে ব্লক ছাত্র-যুব উৎসব। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। কিন্তু সেখানে ছিলেন না নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরস্বতী টুডু (সোরেন) এবং সহ-সভাপতি শান্তিভূষণপ্রসাদ যাদব। শান্তিভূষণবাবু আবার তৃণমূলের নিতুড়িয়া ব্লক সভাপতি।
সরস্বতীদেবী জানান, অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি এ দিন ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। তবে শান্তিভূষণবাবু খোলাখুলি বলেন, ‘‘দলের যে সমস্ত যুব নেতারা ছাত্র-যুব উৎসব পরিচালনা করছেন, তাঁদের সঙ্গে ‘বিরোধ' আছে। যাঁরা দলে থেকেও দলের বিভিন্ন কাজকর্মের বিরোধিতা করেন, তাদের পরিচালনাধীন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনও অর্থ নেই।’’
উৎসব পরিচালনার মূল দায়িত্বে রয়েছেন নিতুড়িয়া ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হরেরাম সিংহ, ব্লক যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আমজাদ খান এবং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা পূর্ণচন্দ্রবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে দলে এবং এলাকায় পরিচিত। শান্তিভূষণবাবু জানান, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বিরোধিতা করেছেন ওই তিন যুব নেতা। সে কারণেই আমন্ত্রণ করা হলেও তিনি এবং সরস্বতীদেবী ছাত্র-যুব উৎসবের অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করেছেন।
শান্তিভূষণবাবুর সঙ্গে পূর্ণচন্দ্রবাবুর ‘বিরোধ’ এলাকায় সুবিদিত। যদিও পূর্ণচন্দ্রবাবুর দাবি, এমন কোনও বিরোধ তাঁদের দলে নেই। তিনি জানান, সভাপতি এবং সহ-সভাপতি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই হয়তো তাঁরা ছাত্র-যুব উৎসবের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। পূর্ণচন্দ্রবাবুর দাবি, বুধবার নিতুড়িয়া ব্লকের কিসান মান্ডিতে অনুষ্ঠিত আদিবাসী মেলাতে তিনি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি এক মঞ্চে ছিলেন।
হরেরাম সিংহের পাল্টা দাবি, ‘‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে শান্তিভূষণবাবুকে বিভিন্ন কাজে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেনি। আমাদের কোনও কর্মসূচিতে ডাকেন না। অথচ, আমরা বরাবর কার্ড পাঠিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ করি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘একাধিকবার আমরা বিরোধ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। তাতে
কাজ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy