ফাইল চিত্র
সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে তিন ব্যক্তিকে ভর্তি করা হল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হল। সোমবারই ওই তিন জনকে চিহ্নিত করা হয়। এ দিন তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতার নাইসেডে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তীর্থঙ্কর চন্দ্র বলেন, ‘‘অসুস্থ তিন জনের মধ্যে দু’জন চেন্নাই ও এক জন হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁদের আইসোলেশনে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন অসুস্থের মধ্যে বছর আঠেরোর এক যুবকের বাড়ি ইলামবাজার থানার এক গ্রামে। তিনি সম্প্রতি চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন। শনিবার তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে তাঁকে প্রথমে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শনিবার দুপুরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই যুবকের বাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে চলে যান। এই খবর জানাজানি হতেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। সোমবার তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ওই যুবকের দাদা বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে একটি কারখানায় কাজের জন্য চেন্নাই গিয়েছিল আমার ভাই। কয়েকদিন আগেই জ্বর নিয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফেরে। বোলপুর থেকে ভাইকে অন্য হাসপাতালে রেফার করলেও আর্থিক অনটনের কারণে তাঁকে আমরা বাধ্য হয়ে বাড়ি নিয়ে চলে আসি। কিন্তু গ্রামের লোকজন অযথা করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কথা শুনে শনিবার রাতে ফের আমরা সবাই মিলে ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করি।’’
সর্দি, জ্বর নিয়ে আরও দু’জনকে সোমবার ভর্তি করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। তাঁদেরও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ওই দু’জনের মধ্যে একজনের বাড়ি নানুরের এক গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মাস দুয়েক আগে কর্মসূত্রে চেন্নাই গিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন। এ দিন তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে পরিবারের লোকজন তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। অসুস্থ আরেক ব্যক্তি কাজের সূত্রে মাস কয়েক আগে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। যদিও ওই ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy