ফাইল চিত্র
রাঁচী থেকে পুরুলিয়ায় আসার পথে ছয় শ্রমিককে মঙ্গলবার ঝালদার 'কর্মতীর্থ'-এ 'কমিউনিটি কোয়ারান্টিন'-এ পাঠানো হয়।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শ্রমিকেরা রাঁচী থেকে ঝালদা সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মুরি পর্যন্ত এসেছিলেন অটোতে চেপে। তার পরে মূল রাস্তা ছেড়ে রেললাইন ধরে হেঁটে ঝালদা পর্যন্ত আসেন। বেলার দিকে ঝালদা স্টেশনের কাছে তাঁদের দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরাই সেখানকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দেন। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরে, ওই সংস্থার কর্মীরা ওই ছয় শ্রমিককে 'কমিউনিটি কোয়ারান্টিন'-এ পৌঁছে দেন।
ছয় শ্রমিকের মধ্যে পুরুলিয়ার বরাবাজারের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, "রাঁচীতে কাজ করতাম। ওখানে আর থাকা যাবে না বলে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে বাড়ি ফিরব বলে ঠিক করি। পাকা রাস্তা ধরে এলে পুলিশ আটকে দিত। তাই রেললাইন ধরে হাঁটা শুরু করেছিলাম।"
করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত বন্ধে পদক্ষেপ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য সরকারগুলিকে একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার পরে সীমানায় লোকজনের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে কড়া হয়েছে পুরুলিয়া পুলিশ।
ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা যাতে এ ভাবে ঢুকে পড়তে না পারেন, তাই সীমানা জুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন পদস্থ এক জেলা পুলিশ আধিকারিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান এলাকায় দুয়ারসিনি এবং ধবনির মতো 'নাকা পয়েন্ট'গুলি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। দুয়ারসিনিতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি, মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপি। সেখানে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে রোগী আছেন কি না দেখা হচ্ছে। সাইকেল বা মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াতও সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ঝাড়খণ্ডের ভেলাইপাহাড়ি থেকে সাইকেলে চড়ে বান্দোয়ানের কুচিয়ায় আসছিলেন নির্মল শবর এবং তারাপদ শবর নামে দুই ব্যক্তি। দুয়ারসিনি 'নাকা পয়েন্ট'-এ আটকে তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
তল্লাশি চলছে গাড়িতেও। সমস্ত গাড়ির বিশদ বিবরণ, চালকের ফোন নম্বর লিখে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy