রাস্তা আটকে। নিজস্ব চিত্র
সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন যুবক। কেন তাকে ভর্তি না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল— সই প্রশ্ন তুলে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ অবরোধ চলল পুরুলিয়ার শিরকাবাদ থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তার মাঝে এক জায়গায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে রাস্তাটি। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝিয়ে বলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ বলেন, ‘‘এখন আর সমস্যা নেই।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মুম্বই থেকে বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার এক যুবক বাড়িতে ফিরেছেন। সর্দি, কাশি এবং জ্বরের উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পাঠানো হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে। পরীক্ষার পরে, সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সে রাতেই যুবক গ্রামে ফিরে আসেন।
শনিবার সকালে এলাকায় খবর চাউর হয়। এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। বেলা ১০টা নাগাদ শুরু হয় শিরকাবাদ থেকে অযোধ্যা হিলটপে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ। যানজট লেগে যায়। পুলিশের পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে যান বাঘমুণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রামকৃষ্ণ ঘোষ। বসন্ত ফুরিয়ে গ্রীষ্ম আসার সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। এই সময়ে অনেকেরই সর্দিকাশি হয়। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক যাতে অহেতুক পরিস্থিতি আরও জটিল না করে, সে জন্য ওই গ্রামে সচেতনতামূলক শিবির করা হবে বলে জানান তিনি। এই ভাইরাস রুখতে কী কী সতর্কতা নেওয়া দরকার, সেখানে বুঝিয়ে বলা হবে সে সবও।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ওই যুবককে পরীক্ষা করে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা বিষয়টি ঠিকমতো বুঝতে পারেননি বলে অবরোধ করেছিলেন। বুঝিয়ে বলায় তাঁরা পুরোটা বুঝেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy