ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে সকলের। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় মাস্ক বা পোশাক (পার্সোনাল প্রটেকশন ইউনিট বা পিপিইউ) অভাবে দুশ্চিন্তার দেখা দিয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। বিশেষ করে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় এই অভাব প্রকট বলে অভিযোগ উঠেছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, “অভাব রয়েছে। তার মধ্যেই ব্যবস্থা করা গিয়েছে। দু’দিনের মধ্যে সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে মাস্ক পৌঁছে যাবে। আসছে এন ৯৫ মাস্কও।”
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার যে দু’টি বড় হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে সেই দুটি হাসপাতাল হল সিউড়ি জেলা হাসপাতাল ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। সেখানকার চিকিৎসকদের একটা অংশ বলছেন, হাতে গোনা এন ৯৫ মাস্ক দেওয়া হয়েছে। পিপিইউ-ও খুব কম। অথচ প্রতিদিন বিদেশ এবং দেশের করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষকে পরীক্ষা করতে হচ্ছে দু’টি লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্কের উপর ভরসা করেই।
একই অবস্থা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিরও। হোম কোয়রান্টিনে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে যে আশাকর্মীরা প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তাঁদের কেউই সার্জিক্যাল (ডিসপোজেবল) মাস্কটুকুও পাননি বলে অভিযোগ। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরাও মাস্ক পাননি বলে অভিযোগ।
স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য বলছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সকলের মাস্ক পরে ঘোরার প্রয়োজন নেই। মাস্ক প্রয়োজন যাঁদের, তাঁরা হলেন যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে বা যাঁর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে মনে করা হচ্ছে তাঁদের। সেই সঙ্গে রোগীদের সংস্পর্শে যাঁরা আসছেন এমন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের। সেখানে তাঁদেরই কেন মাস্ক পেতে সমস্যা হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন বহু মানুষ। দুটি জেলা ও একটি মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন দশ জনেরও বেশি রোগী। প্রতিদিন দু’বেলা তাঁদের খোঁজ নিতে হচ্ছে। তাই দ্রুত মাস্ক ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বর্মের দাবি উঠেছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব মহল থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy