সতর্ক: হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক নিয়ে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার কড়িধ্যায়। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা আবহে কাটছাঁট হল হুল উৎসবের আয়োজনেও। ১৮৫৫ সালে ৩০ জুন ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সিধো-কানহুর নেতৃত্বে শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সাড়ম্বরে পালিত হয় হুল উৎসব। কিন্তু করোনা আবহে এ বার সেই আয়োজন ছিল কম।
মঙ্গলবার হুল উৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইন্সটিটিউশনে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল-সহ বহু বাসিন্দা।
এ দিন অনুষ্ঠানের প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শহিদ বেদীতে ও সিধো কানহুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ে মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নিহত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং হুল উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে রাজেশের বোন শকুন্তলার হাতে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
আদিবাসী শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রদর্শনী-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যেমন, ফুটবল ও তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা বাদ হয়েছে। আগত প্রত্যেকের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক ছিল। প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ারও ব্যবস্থা ছিল।
এ দিন বক্তব্যে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু আদিবাসীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানান। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলও বক্তব্য রাখেন। অনুব্রত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা আদিবাসীদের পাশে আছেন।’’
সিউড়ির সিধো কানহু মঞ্চে এ দিন সকালে সিধো কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকেও মাল্যদান করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy