Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

ঘরবন্দি করোনা আক্রান্তরা, খোঁজ নেয়নি পড়শি-প্রশাসন

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ির সামনে বাঁশ বেঁধেই দায় সারা হয়েছে। সপ্তাহ ঘুরলেও খোঁজ নেননি কেউ, এমনই অভিযোগ পরিবারের।

চিহ্ন: বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে আক্রান্তের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

চিহ্ন: বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে আক্রান্তের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

তন্ময় দত্ত
মুরারই শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০১:৫৭
Share: Save:

বাড়ির তিনজনই করোনা আক্রান্ত। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল আসছে না দুধওয়ালা। আনাজও নেই ভাঁড়ারে। তাই ভাত আর আলু সিদ্ধ করেই চলছে দু’বেলার আহার। একটি বাড়িতে পাঁচটি পরিবারের বাস। সদস্য সংখ্যা মোট ২২ জন। তার মধ্যে রয়েছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা এক মহিলা ও ছ’মাসের শিশুও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ির সামনে বাঁশ বেঁধেই দায় সারা হয়েছে। সপ্তাহ ঘুরলেও খোঁজ নেননি কেউ, এমনই অভিযোগ পরিবারের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই বাজার এলাকায় এই বাড়িটিতে বসবসকারী এক যুবক গত সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। তাঁকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন মঙ্গলবার সকলের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার পরিবারের ৭৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ ও ৬০ বছরের এক বৃদ্ধার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাঁদেরও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওই পরিবারের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার থেকে প্রতিবেশী থেকে প্রশাসন সকলেই মুখ ফিরিয়েছেন এ বাড়িতে করোনা আক্রান্ত থাকায়। এক বারের জন্য ফোনেও খোঁজ নেননি কেউ। ওই পরিবারের সদস্য সতীশ কেশরী বলেন, ‘‘ছ’মাসের শিশু ও সাত বছরের বাচ্চা আছে পরিবারে। আমার এক ভাইপো করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে দুধ দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দূরেই মুরারই পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ি দুধের জন্য ফোন করায় একদিন দু’প্যাকেট দুধ পাঠিয়েছিলেন। বাড়িতে কোনও আনাজ নেই। কাকে বলব? সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে। খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে।’’ পরিবারের অন্য সদস্যদের কথায়, ‘‘এই করোনাভাইরাস যেন চেনা মানুষজনকে অচেনা করে তুলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়া হল না একবারও!’’

যদিও মুরারই ১-এর বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘বিষয়টি তো আমার জানা ছিল না। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE