Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

পুরুলিয়ায় ‘ট্রু- ন্যাট’ যন্ত্রে পরীক্ষা

করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ এ বার শুরু হল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০১:৩১
Share: Save:

করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ এ বার শুরু হল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে শহরের উপকন্ঠে মেডিক্যাল কলেজের নবনির্মিত হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে ‘ট্রু- ন্যাট’ যন্ত্রের মাধ্যমে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘পুরুলিয়াতে এই যন্ত্রে পরীক্ষার কাজ শুরু হওয়ায় এ বার সুবিধা হল। আরও তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পাওয়া যাবে। কেবলমাত্র নেগেটিভ রিপোর্টই এই যন্ত্র থেকে দেওয়া যাবে।’’

পুরুলিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত জানান, এত দিন লালারসের নমুনা সংগ্রহের পরে তা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হত। কিছু নমুনা পাঠানো হত দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্রে লালারসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হওয়ায়, জেলার অনেক সুবিধা হল।

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কারা করোনা-আক্রান্ত নন, এই যন্ত্রে তা নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে। তবে কেউ করোনা-সংক্রমিত হলে বা পজ়িটিভ হলে এই যন্ত্র থেকে তা সুনিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সেই সব নমুনা আমরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠাব। আইসিএমআরের নির্দেশ অনুযায়ী, আরটিপিসিআর নামক যন্ত্রে পরীক্ষা করার পরেই কেউ করোনা-পজ়িটিভ কি না, সে রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে।’’

অধ্যক্ষ জানান, ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্রে প্রতিদিন কমবেশি ১২টি করে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। তবে পুরুলিয়াতেও আরটিপিসিআর যন্ত্রে করোনা পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অধ্যক্ষের আশা, ‘‘চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ আরটিপিসিআর যন্ত্রের মাধ্যমে পুরুলিয়াতেও পরীক্ষা শুরু হতে পারে।’’

ভিন্‌ রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফেরা শুরু হতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা বেড়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তখন গুজরাত ও মহারাষ্ট্র থেকে যাঁরা ফিরছিলেন, তাঁদেরই লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, উপরোক্ত দুই রাজ্য ছাড়াও দিল্লি, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ থেকে ফিরলে এখন আর প্রথমেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। প্রথমে তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক ‘কোয়রান্টিন সেন্টার’-এ রাখা হবে। উপসর্গ দেখা দিলে তবেই তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

তাই মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জেলা প্রশাসন পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ বাড়ালেও, ওই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নমুনা সংগ্রহ ফের কমে যায়। শেষ সপ্তাহের প্রথম (২২-২৬ মে) পাঁচ দিনে যেখানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২,৪৯০, বাকি দু’দিনে ন’টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার পর থেকে নমুনা সংগ্রহ কমেছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, ‘‘পুরুলিয়া জেলায় ৭১৯টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন সেন্টার গড়া হয়েছে। প্রথম সপ্তাহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে। এই সাত দিনের মধ্যে কোনও উপসর্গ না দেখা গেলে পরবর্তী সাত দিন তাঁদের বাড়িতে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকতে বলা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে যাঁরা রয়েছেন, প্রতিদিন তাঁদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে। গত ২৮ মে থেকে এই পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Truenat Test Purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE