খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এ কাজ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ চাল, ডাল, আলু, সাবান আর তেল নিয়ে রানিবাঁধের আদিবাসী পাড়ায় ঘুরলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ। সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও ও পুলিশ-প্রশাসনের অন্য কর্তারা। রানিবাঁধ থানার মিঠাম ও ঘাগরা গ্রামে আদিবাসীপাড়ার ৩০টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে ওই জিনিস তুলে দেন তাঁরা।
এসডিও (খাতড়া) রবি রঞ্জন জানান, এলাকার ৫০০টি দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। এ দিন জেলাশাসক নিজে ৩০টি পরিবারের হাতে খাবার তুলে দিয়েছেন। মিঠাম গ্রামের বৃদ্ধ বিনোদ টুডু ও বৃদ্ধা সোনামণি টুডু বলেন, ‘‘প্রতিদিন কাজ করলে আমাদের সংসার চলে। আজ বারো-তেরো দিন কাজকর্ম সব বন্ধ। কষ্টে দিন চলছিল। যা পেয়েছি, তাতে চার-পাঁচ দিন চালিয়ে নেওয়া যাবে।’’
খাতড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ থেকে আসা বেশ কিছু নির্মাণ শ্রমিক সেখানে আটকে রয়েছেন। এমন ৩০ জনকে এ দিন রেশনের কুপন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় রেশন দোকান থেকে তাঁরা যাতে চাল পান, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাতড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনন্দমোহন মাহাতো জানান, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো ত্রাণ বুথভিত্তিক প্যাকেট করে বিলি করার ব্যবস্থা হচ্ছে।
অন্য দিকে, বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন। কিন্তু ওষুধ না পেয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। ভিন্ রাজ্যে থাকা মেয়ের ফোন পেয়ে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের নন্দুয়াড়ার বাসিন্দা ভোলানাথ সরকারের হাতে শনিবার ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
পুঞ্চার বাগদা রামকৃষ্ণ মঠের পক্ষে কিশোর ঘোষ জানান, নির্ভয়পুর ও কুলটাঁড় গ্রামের ১০০টি পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে। চাল, আলু, তেল, ছাতু, সাবান-সহ দশ রকমের জিনিস পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগদা মঠের অধ্যক্ষ স্বামী নিয়তাত্মানন্দ।
গ্রামীণ চিকিৎসকদের সংগঠন, ‘প্রোগেসিভ মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পাড়া ব্লকের সদস্যেরা শনিবার ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে প্রায় একশো জন দিনমজুর, মুটে, ঠেলা ও রিকশাচালকদের চাল, ডাল, ছাতু, চিঁড়ে ও গুড় দেন। সাঁতুড়ি ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছ’শো জনকে একটি সংস্থার তরফে সাবান, মাস্ক-সহ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy