ফাইল চিত্র
অন্য রাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে ফেরার কথা ছিল সবারই। কিন্তু লকডাউনের জেরে কবে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারবেন তার ঠিক নেই। তাই বোলপুর ও আশপাশের এলাকার ওই বাসিন্দারা চান, প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করুক। প্রশাসনকে সেই আবেদন জানিয়েছেন নানুরের বিধায়কও।
কেউ গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে আবার কেউ গিয়েছিলেন কর্মসূত্রে। কিন্তু লকডাউনের জেরে অন্য রাজ্যে আটকে পড়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। চিকিৎসা করাতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের কঙ্কালীতলা, মুলুক অঞ্চলের দশজন বাসিন্দা। চিকিৎসা করানোর কাজ শেষ হলেও লকডাউনে সেখানেই আটকে পড়েছেন তাঁরা। কঙ্কালীতলা এলাকার বাসিন্দা, বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন. “দু-সপ্তাহ আগে বাবাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। ২৩শে মার্চ ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দেশজুড়ে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারিনি। এখন বেশি টাকা দিয়ে হোটেল ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। ঠিক মতো খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করবো আমাদেরকে যেন এই অবস্থা থেকে বের করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।”
মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর ও কসবা গ্রামের ৮০ জন শ্রমিক। দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। খাওয়া ও থাকা নিয়েও সমস্যায় তাঁরা। মুম্বইয়ে আটকে পড়া শ্রমিক মফিজ খান, সফিকুল খানরা বলেন, “এক মাস আগে আমরা কাজে এসেছিলাম। গত সপ্তাহেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সবাই আটকে পড়েছি। আমরা চাই সরকার যেন আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। আমাদের বাড়ির লোকজনও খুব চিন্তা করছে।”
কেশবপুর ও কসবা গ্রামের শ্রমিকদের কাজ করতে গিয়ে মুম্বইয়ে আটকে পড়ার কথা জানতে পেরে নানুরের বিধায়ক শ্যামলী প্রধান ওই সমস্ত শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে যাতে প্রশাসন উদ্যোগী হয় সে জন্য শুক্রবার জেলাশাসক ও
বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিকে লিখিত ভাবে একটি আবেদন জানান। শ্যামলীদেবী বলেন, “আটকে পড়া শ্রমিকেরা আমাকে সমস্যার কথা জানান। সেই মতো আমি প্রশাসনকে বিষয়টা জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy