আভাস: সিউড়ির আকাশে মেঘ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মানলে বীরভূমে তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’কে গুরুত্ব দিয়ে সেই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সম্ভাব্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিউড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক হল।
সেচ ও বিদ্যুৎ দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, প্রতিটি বিডিও-র প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘সুপার সাইক্লোন আমপানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা ও ব্লক স্তরের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত কী ভূমিকা হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে বিডিওরা বুধবার সকালেই বৈঠক করবেন।’’
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া তীব্র ঘূর্ণিঝড় আপমান স্থলভাগের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব কমাচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন, বুধবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই রাজ্যে ঢুকে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ তিন জেলায় তার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়ের প্রভাব পড়বে। ঝড়ের গতি কোথাও ১২০ কিমি থেকে ১৯৫ হতে পারে। বীরভূমে ঝড়ের দাপট থাকবে, তেমন পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দেয়নি। তবে বৃষ্টিপাত হবে। ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে প্রশাসন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙে পড়তে পারে বিদ্যুতের খুটি, কাঁচাবাড়ি, গাছপালা। সেই জন্য বিদ্যুৎ, দমকল, বিপর্যয় মোকবিলা দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সহ বিভিন্ন দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। পানীয় জলের জোগান নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রচুর ত্রিপলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে নদীঘাটে নৌকা চলাচল। জেলাশাসকের কথায়, ‘‘মাটির বাড়িতে থাকেন এমন পরিবারের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, সেই পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। এক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। কন্ট্রোলরুমও খোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy