Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

হারলেও প্রধান বদল নয়

আস্থা সংক্রান্ত ভোটের শুনানিতে প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তবু বান্দোয়ানের কুইলাপাল সেই পঞ্চায়েত প্রধান সরছেন না। বান্দোয়ানের বিডিও অমলেন্দু সমাদ্দার বলেন, ‘‘কুইলাপাল পঞ্চায়েত নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন জমা পড়েছে। সে কারণে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বদল এখনই করা হচ্ছে না।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০০:০৩
Share: Save:

আস্থা সংক্রান্ত ভোটের শুনানিতে প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তবু বান্দোয়ানের কুইলাপাল সেই পঞ্চায়েত প্রধান সরছেন না। বান্দোয়ানের বিডিও অমলেন্দু সমাদ্দার বলেন, ‘‘কুইলাপাল পঞ্চায়েত নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন জমা পড়েছে। সে কারণে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বদল এখনই করা হচ্ছে না।’’

১৪ জুন কুইলাপাল পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সনকা সোরেনের অপসারণ চেয়ে চার পঞ্চায়েত সদস্য বিডিও-র কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। অনাস্থার পক্ষে তৃণমূলের উপপ্রধান নির্মল সোরেনও সই করেছিলেন। ওই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য ছ’জন। তৃণমূলের তিন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দুই ও সিপিএমের এক সদস্য আছেন। অনাস্থায় উপপ্রধানের সঙ্গে জেএমএম এবং সিপিএমের সদস্য সামিল হয়েছিলেন। ১ জুলাই আস্থা সংক্রান্ত শুনানিতে অনাস্থার পক্ষে থাকা সদস্যেরা হাজির থাকলেও প্রধান সনকা সোরেন-সহ দুই সদস্য পঞ্চায়েতে আসেননি। বিডিও জানিয়েছিলেন, অনাস্থায় শুনানির সভায় কোরাম হয়েছে। প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।

যদিও বান্দোয়ান ব্লক তৃণমূল সভাপতি রঘুনাথ মাঝির অভিযোগ, ‘‘নিয়ম মেনে অনাস্থার শুনানি সভা হয়নি। নিয়মভঙ্গের কারণে আমরা হাইকোর্টে অনাস্থার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। আগামী ২০ জুলাই শুনানির দিন রয়েছে।’’

বেনিয়ম কোথায় হয়েছে? বিডিও বলেন, ‘‘অনাস্থার পক্ষে থাকা সদস্যেরা নিয়ম মেনে যার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়েছেন তাঁকে চিঠি দেননি। রেজিস্ট্রি ডাক যোগে তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে জানানোর নিয়ম। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। পঞ্চায়েতের আইন না মানায় অনাস্থার শুনানির ওই সভা বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সনকাদেবীই প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।’’ তাঁর দাবি, প্রধানকে যে চিঠি দেওয়া হয়নি তা তিনি না জেনেই তলবিসভা ডেকেছিলেন। পরে ঘটনাটি তিনি জানতে পারেন।

এই ঘটনায় উপপ্রধান নির্মল সোরেনের প্রতিক্রিয়া— ‘‘আইনের ফাঁক দিয়ে প্রধানের চেয়ার বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।’’ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা মণীন্দ্রনাথ সোরেন বলেন, ‘‘তৃণমূল যে কোনও প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমান প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। প্রধানের চেয়ারে বসার নৈতিক অধিকার তিনি হারিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Writ Petition Panchayat Pradhan Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE