জেলায় কত সিলিকোসিস রোগী রয়েছেন, তা জানতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হবে এ বার।
সিউড়ির ভকত সিংহ পার্কের কনফারেন্স হলে বুধবার সিলিকোসিস নিয়ে একটি আলোচনা সভায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘দিল্লিতে এই নিয়ে প্রশিক্ষণ রয়েছে। এরপর জেলায় প্রশিক্ষণ হবে। বাড়ি, বাড়ি সমীক্ষাও হবে। এমন রোগী থাকলে নিশ্চিত ধরা পড়বেন।’’ সিউড়িতে ওই সভায় ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জয়েন্ট ডিএইচ এস অধিকর্তা(প্রশাসন) অদিতি কিশোর সরকার, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকর্তা হিমাদ্রি আড়ি প্রমুখ। ছিলেন জেলাস্বাস্থ্য দফতরের একধিক কর্তাও।
স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এটি এমন একটি রোগ যার মূলে রেয়েছে পাথরের কণা। যে পরিবেশে এমন কণা উড়ছে দীর্ঘদিন সেই পরিবেশে কাজ করলে ফুসফুসের উপরিভাগে মারাত্মক ক্ষতি হয়েই এই রোগের সৃষ্টি। পাথর খাদান, কাঁচকারখানা, পাটের কল, কংক্রিটের কাজে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বুকে ব্যথা শ্বাস কষ্ট, জ্বর, শেষ ভাগে শরীর নীলাভ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ এই রোগের। চিকিৎসা না হলে মৃত্যু।
জেলার পাঁচটি ব্লকে পাথর খাদান রয়েছে, কাজ করেন দশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। তাই সিলিকোসিস নিয়ে এই সচতনতা।
স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য দাবি করেছে, জেলায় এই রোগে জেলায় কেউ মারা যাননি। যদিও তা মানতে নারাজ পাথর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনে থাকা আদিবাসী গাঁওতা নেতা রবীন সরেন। রবীনবাবু বলেন, ‘‘এখন পরিবেশ আদালেতের নির্দেশে ৯০ শতাংশ খাদান কাগজে কলমে বন্ধ। অথচ কাজ চলছে। মানুষ কাজ করছেন। এখানে ওই রোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। কিন্তু মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ধূলোজনিত রোগ। সিলিকোসিস না লেখা থাকলেও বাস্তব অস্বীকার করা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy