Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘এত্তা জঞ্জাল’ কেন, ক্ষুব্ধ ডিএম

বুধবার পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে অসন্তুষ্ট জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

সদর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

সদর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৪
Share: Save:

নিকাশি নালার জল জমে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নালার পাশে আবর্জনা। আবর্জনায় চরে বেড়ানো শুয়োরের দল সে আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে অন্যত্র। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডের জানলার কার্নিসেও জমে ময়লা।

বুধবার পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে অসন্তুষ্ট জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এ দিন দুপুরে সেখানে যান জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুবীর নাগ, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক সেরে সরেজমিন ঘুরে দেখেন আধিকারিকেরা। হাসপাতালের পিছনের দিকে প্রসূতি ওয়ার্ডের পাশে নিকাশি নালার পাশে আবর্জনার স্তূপ এবং নিকাশি পাইপের মুখ নোংরায় বুজে রয়েছে দেখে জেলাশাসক জানতে চান— নিকাশির এমন দশা কেন? এই ভবনের ‌পিছনের দিকে গিয়েও খোঁজ নেন তিনি। সেখানে তাঁর নজরে আসে বারান্দার গ্রিল ও ওয়ার্ডের জানালার বাইরে প্লাস্টিকের প্যাকেট, ফলের খোসা-সহ নোংরা জমে রয়েছে। ফের তিনি জানতে চান, ‘‘এই অবস্থা কেন?’’

হাসপাতালের সুপার শিবাশিস দাস দাবি করেন, ‘‘যতই পরিষ্কার করা হোক না কেন, এক দিনের মধ্যে এই অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। বারান্দা ও জানলায় তারের জাল বসানো হলেও ওয়ার্ড থেকে বাইরে আবর্জনা ফেলা কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।’’ হাসপাতালের কোয়ালিটি ম্যানেজার দেবদীপ মুখোপাধ্যায় জেলাশাসককে জানান, বারান্দার গ্রিলে কাচ পর্যন্ত বসানো হয়েছে। তবুও কোথাও থেকে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ওয়ার্ডের ভিতরে ডাস্টবিন রয়েছে কি না জেলাশাসক জানতে চান। দেবদীপবাবু বলেন, ‘‘ডাস্টবিন থাকলেও রোগীরা তা ব্যবহার করেন না।’’

জেলাশাসক বলেন, ‘‘কিন্তু এই অবস্থা তো চলতে পারে না।’’ তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেন, ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা যাতে এ ভাবে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলেন, সে জন্য উপযুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তা নিতে হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, ‘‘প্রতিটি ওয়ার্ডে কী করণীয়, আর কী করা যাবে না, সেই মর্মে নির্দেশিকা লিখে রাখলে এই অবস্থা এড়ানো যেতে পারে।’’

পরে জেলাশাসক জানান, আগামী সপ্তাহে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক রয়েছে। তার আগে সরেজমিন ঘুরে দেখে নেওয়া হল কোথায় কী সমস্যা রয়েছে। বৈঠকে সে সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Deben Mahato Medical College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE