খয়রাশোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র অন্তর্গত মিশন নির্মল বাংলা কর্মসূচিতে তারা কেন এগিয়ে, তা ফের বোঝাল খয়রাশোল। সামাজিক অনুষ্ঠানকেও যে ওই প্রকল্পের সচেতনতা বৃদ্ধিতে লাগানো যায় গত বার রাখি উৎসবে দেখিয়েছিল খয়রাশোল ব্লক। এ বার একই ছবি দেখা গেল দোল উৎসবকে ঘিরেও। শুক্রবার ব্লকের ছোড়া গ্রামের ঘটনা।
উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম আটকাতে শুধু বাড়ি বাড়ি শৌচাগার গড়ে দেওয়াই নয়, তা যেন উপভোক্তারা ব্যবহার করেন— সে বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে খয়রাশোল ব্লক। ইতিমধ্যেই খয়রাশোল ও নাকড়াকোন্দা দু’টি পঞ্চায়েত অঞ্চল ‘নির্মল’ ঘোষিত। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, তৃতীয় ‘নির্মল’ পঞ্চায়েত হিসাবে খয়রাশোলের রূপসপুরকে তালিকায় রেখে কাজ হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই পঞ্চায়েতটিও ‘নির্মল’ ঘোষিত হওয়ার পথে। কিন্তু, কিছু পরিবারের শৌচাগার গড়ায় প্রাথমিক সমস্যা ছিল ওই প্রকল্পের জন্য উপভোক্তাদের যে টাকা (৯০০ টাকা) দেওয়ার কথা, তা তাঁরা দিতে পারছিলেন না।
ব্লকে প্রকল্পের নোডাল অফিসার তথা যুগ্ম বিডিও অভিষেক মিশ্র বলছেন, ‘‘হোলি যেহেতু একটা আনন্দের উৎসব। আমরা প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করেছিলাম, যদি এলাকার সুহৃদয় ব্যক্তিরা ওই পরিবারগুলির সাহায্যে এগিয়ে আসেন। দ্বিতীয় উদ্যোগে ছিল, তৈরি হয়ে যাওয়া শৌচাগারগুলিকে রঙিন করে তোলা দোলের রঙে। অভুতপূর্ব সাড়া মিলেছে।’’ এলাকার মেয়েরা নানা রঙে সাজিয়ে তোলেন তৈরি হওয়া নতুন শৌচাগারগুলি। যাঁরা সুহৃদয় ব্যক্তিদের ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এ দিন শৌচাগারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জমা করতে পারলেন, সেই অসিত ঘোষ, দয়ময়ী বাগদি, মালতি ধীবররা খুব খুশি। আর যাঁরা অর্থ সাহায্য করলেন, সেই লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল, উত্তম ঘোষ, তরুণ মণ্ডলেরা বলছেন, ‘‘এলাকা নির্মল হলে সকলের মঙ্গল। এটা উপলব্ধি করার পরে এগিয়ে এলাম।’’ ডিএম পি মোহন গাঁধী খয়রাশোল ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘নির্মল বাংলা অভিযানে অভূতপূর্ব কাজ করছে খয়রাশোল ব্লক। খব শীঘ্রই গোটা ব্লকই নির্মল হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy