সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে বাজি ফাটবে কি? প্রশ্ন নানা মহলে।
উৎসব হোক আলোর, শব্দ হোক বন্ধ— দুর্গাপুজোর আগে জেলার পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
‘শব্দ-দৈত্য’ রুখতে জেলা জুড়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল। জেলার তিন মহকুমা থেকে কয়েক জন শব্দবাজি মজুতদার ও পাইকারি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু তাতে যে পরিস্থিতি বিষেয বদলায়নি, সেই আঁচ মিলেচিল ষষ্ঠীতে। জেলাবাসীর একাংশের নালিশ, সে দিন থেকে শুরু হয়ে একাদশীর বিকেল পর্যন্ত শব্দবাজির দাপটে নাজেহাল সকলে। রামপুরহাট, নলহাটি, দুবরাজপুর, বোলপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া— জেলার ওই ছয় পুরসভা এলাকা ছাড়া মল্লারপুর, মুরারই, পাইকর, নানুর, কীর্ণাহার, লাভপুর, মহম্মদবাজার, রাজনগর, খয়রাশোলের গ্রামাঞ্চলে শব্দবাজির দাপট ছিল চরমে। রামপুরহাট শহরের থানার সামনে, বোলপুরে চৌরাস্তার মোড়ে দশমীর রাতে পুলিশের সামনে নিষিদ্ধ শব্দবাজি অনেক রাত পর্যন্ত ফাটানো হয় বলেও নালিশ।
অভিযোগ, বোলপুর শহরে দুর্গাপ্রতিমার নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় শব্দবাজি না থাকলেও, পাড়ায় পাড়ায় তার দাপটে বিব্রত হন এলাকাবাসী। রামপুরহাটে দেশবন্ধু রোড ও ব্যাঙ্ক রোডে পুজোয় সন্ধ্যা থেকেই শব্দবাজি ফাটে। গ্রামাঞ্চলে শব্দবাজির দাপট অনেক বেশি ছিল। চকোলেট বোমার মতো শব্দবাজি বিক্রি হয় প্রকাশ্যেই। দশমীর দুপুরে নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম, মেহেগ্রাম, তেজহাটি গ্রামে প্রাচীন রীতি মেনে হয় গৃহপালিত গরুর দৌড়। গরুদের ছোটাতে ফাটে শব্দবাজি।
শুধু শব্দবাজি নয়, বিসর্জনে পাল্লা দিয়ে বেজেছে ডিজে বক্স। অভিযোগ উঠেছে— বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট মহকুমাতেই তার দাপট ছিল তুঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, রামপুরহাট শহরে দুর্গাপুজার বিসর্জনে নজরদারির জন্যে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে ড্রোন-ক্যমেরায় নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর রাতে রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, বোলপুর শহরে ছোটখাট গোলমাল হলেও বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলার পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানান, জেলায় দুর্গাপুজোর সময় ইভ-টিজিং রুখতে মহিলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী একাদশীর দুপুর পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে এসপি-র দাবি, শব্দবাজি ও ডিজে বক্স রুখতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে নলহাটি থানার কুরুমগ্রামে পূর্বপাড়ায় প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে গণ্ডগোল হয়। ঘটনায় এক জন জখম হয়েছে। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy