Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাঁতাল পিষে দিল বৃদ্ধাকে

বৃদ্ধাকে পিষে মারল দাঁতাল। তার পরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল ঘণ্টা ছয়েক। অনেক চেষ্টা করেও বনকর্মীরা দেহের কাছে ঘেঁষতে পারছিলেন না। শেষে নিজের মর্জিতে হাতিটি সরলে উদ্ধার করা হয় ফুলমণি মাণ্ডির (৬৫) দেহ। সোমবার পুঞ্চার বারঘুটু গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

বৃদ্ধাকে পিষে মারল দাঁতাল। তার পরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল ঘণ্টা ছয়েক। অনেক চেষ্টা করেও বনকর্মীরা দেহের কাছে ঘেঁষতে পারছিলেন না। শেষে নিজের মর্জিতে হাতিটি সরলে উদ্ধার করা হয় ফুলমণি মাণ্ডির (৬৫) দেহ। সোমবার পুঞ্চার বারঘুটু গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের ঘটনা।

বানাবীর গ্রামের বাসিন্দা ফুলমণি ওই জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ তিনি হাতিটির মুখোমুখি পড়ে যান। দাঁতাল তাঁকে পিষে দেয়। কিন্তু তার পরে দেহের পাশ থেকে নড়ছিল না হাতিটি। বন দফতরের কর্মীরা গেলে তেড়ে আসছিল। এ ভাবেই কেটে যায় প্রায় ৬ ঘণ্টা। হাতিটি সরলে বিকেল ৫টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এ দিন বৃদ্ধার পরিবারের জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী হাতির হানায় মৃত্যুতে আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বৃদ্ধার ছেলে রবি মান্ডির নামে এ দিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানো হয়। মহকুমাশাসক (মানবাজার) সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘প্রথম দফায় ওই বৃদ্ধার ছেলেকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে তিনি দেড় লক্ষ টাকা পাবেন।’’

পুঞ্চার দায়িত্বে থাকা হুড়া রেঞ্জ আধিকারিক দেবাশিস ভঞ্জ বলেন, ‘‘দাঁতালটি দলছুট। তবে কোথা থেকে এসেছে সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই।’’ বন দফতর সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে মানবাজার ২ ব্লকের যমুনাগোড়া গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে বাসিন্দারা হঠাৎ দাঁতালকে দেখতে পান। তারা বন দফতরকে খবর দিয়েছিলেন। বোরো এবং বরাবাজার থানার পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীরা দাঁতালটিকে নজরে রাখতে শুরু করেন। অন্ধকারের সুবিধা করতে পারেননি। সোমবার সকালে জানা যায়, পুঞ্চার বারঘুটু গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে হাতিটি।

তবে মানবাজারের গোবিন্দনগর গ্রামের এক যুবক দাবি করেছেন, রবিবার রাতে হাতির মুখোমুখি পড়ে তিনি কোনও রকমে পালিয়ে বেঁচেছেন। শিবু কুণ্ডু নামে ওই যুবক মানবাজারের কিসান মান্ডির উল্টো দিকে একটি দোকানে কাজ করেন। রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর দাবি, বালুডি গ্রামের মোড় পেরোতেই দাঁতালটি দেখেন। শিবুর দাবি, হাতির শুঁড়ের ঝাপটে তিনি উল্টে যান। সাইকেল ফেলে দৌড়তে গিয়ে পড়েন আলের সরু গর্তে। অনেক ক্ষণ পরে সাড়াশব্দ না পেয়ে বোঝেন হাতি ধারে কাছে নেই। তখন কোনও রকমে বাড়ি ফেরেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Elderly Lady Elephant Elephant Attack Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE