গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলায় পাঁচটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশু-সহ পাঁচ জনের। দুর্ঘটনার জেরে দুই জায়গায় পথ অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার বিকালে মুরারইয়ের রাজগ্রাম পশ্চিমবাজারে বাড়ির সামনে বোলপুর–রাজগ্রাম রাস্তায় পাথর বোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক তিন বছরের শিশুর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অজয় জয়সবাল। বাড়ি ওই এলাকাতেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়ির সামনে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দ্রুত গতিতে আসা লরির শব্দ শুনে আচমকা টাল সামলাতে পারেনি অজয়। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই এলাকাবাসী লরিটিকে আটক করে। চালক ও লরির খালাসিকে লরি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু হয়। ভাঙচুর হয় লরিও। এর পরেই বাসিন্দারা রাস্তার উপর ছ’চাকা লরি চলাচল বন্ধের দাবি তোলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসা চেষ্টা করেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ দিকে, রবিবার রাতে রানিগঞ্জ–মোরগ্রাম জাতীয় সড়কে, রামপুরহাটের খরুণ মোড়ের কাছে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকল। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (২৮)। বাড়ি রামপুরহাটের হাটতলা পাড়ায়। ওই যুবক বন্ধুদের সঙ্গে রবিবার রাতে জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। বন্ধুদের দাবি, খাওয়াদাওয়ার শেষে শৌচালয় যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। দমকল গভীর রাতে ওই যুবকের থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হিসাবে হাসপাতালের মর্গে রাখে। পরে সোমবার সকালে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়।
অন্য দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট থানার শালবাদরা থেকে আম্বা যাওয়ার রাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মাঝবয়সী ব্যক্তির। পুলিশ জানায় মৃত শ্যামচাঁদ হেমব্রমের (৪৫) বাড়ি ময়ূরেশ্বরের মথুরাপুর গ্রামে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ রাতভর আটকে রাখেন। সকালে এলাকায় পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। চতুর্থ দুর্ঘটনায় রবিবার বিকালে রানিগঞ্জ–মোরগ্রাম জাতীয় সড়কে, নলহাটির শ্রীপুরের এক যুবক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়। রাতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। শেষ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে রামপুরহাট কামারপট্টি মোড় এলাকায়। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিটির পরিচয় জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy