ইনসেটে নিহত কানাই মাজির। নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদী হামলায় নিহত জওয়ানকে গান স্যালুটে বিদায় জানালেন সিআরপি জওয়ানেরা। বুধবার রাতে সিআরপির কোবরা বাহিনীর নিহত জওয়ান কানাই মাজির অন্ত্যেষ্টিতে ভিড় করেছিলেন গ্রামবাসী।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রঘুনাথপুরের লছিয়া গ্রামে পৌঁছয় বছর আঠাশের কানাইয়ের কফিনবন্দি দেহ। তার আগে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর থেকে হেলিকপ্টারে সিআরপি জওয়ানেরা কানাইয়ের দেহ উড়িয়ে নিয়ে আসেন রাঁচীতে। সেখান থেকে সড়কপথে দেহ পোঁছয় গ্রামে। প্রথমে গ্রামের ফুটবল মাঠে কফিন রেখে গান স্যালুট দেয় সিআরপি। সেখানেই রাতে পৌঁছন জেলার মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। কফিনের উপরে ফুলের স্তবক দিয়ে সিআরপি জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। পরে কফিনবন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া
হয় বাড়িতে।
বাড়ি থেকে শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় জওয়ানের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া-সহ বাবা-মাকে আর্থিক সাহায্য করার দাবি মন্ত্রীর কাছে জানান গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি ছিল, পরিবারের এক মাত্র রোজগেরে ছিলেন কানাই। তাঁর মৃত্যুর পরে স্ত্রী পাপিয়া কী ভাবে তাঁর সন্তানদের বড় করবেন? তাই চাকরির ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।
কানাইয়ের বাবার বয়স হওয়ায়, তিনি এখন সে ভাবে চাষবাস করতে পারেন না। সে প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার দাবি মন্ত্রীর কাছে জানান বাসিন্দাদের একাংশ। শান্তিরামবাবুর আশ্বাস, ‘‘গ্রামবাসীর দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা
করা হবে।’’
মঙ্গলবার বিকেলে ছত্তীসগঢ়ের সুকমাতে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময়ে গুলিতে জখম হন সিআরপি-র কোবরা বাহিনীর দুই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় কানাইয়ের। মঙ্গলবার রাতে সে খবর লছিয়ায় পৌঁছয়। বৃহস্পতিবারও এলাকায় লোকের মুখে মুখে ঘুরেছে কানাইয়ের কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy