প্রাথমিক ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ হিসেবে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ৫-৬ বছরের মধ্যে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৯টি স্বাস্থ্যজেলার ২১২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১৮১টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটতে চলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি হাওড়ার পাশাপাশি জেলার বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ৩৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তার আওতায় রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কী কী পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন এবং তার জন্য খরচ কত— সে সব সমীক্ষা করে ইতিমধ্যেই প্রকল্প আধিকারিক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উচ্চপদস্থ আদিকারিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, বুনিয়াদি স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করে জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির উপরে চাপ কমাতেই এই পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। উদ্দেশ্য মিড-লেভেল স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়িয়ে তোলা। যাতে বড় হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা যায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা আরও সুসংহত করা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের দায়িত্বে থাকবেন কমিউনিটি হেল্থ অফিসার। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জিএনএম ও বিএসসি নার্সিং স্টাফদের বাছাই করে সিএইচও-র জন্য ইন্দিরা গাঁধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৬ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সিএইচও হবেন এমন ৩১ জনকে সিউড়ি হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেলার চিকিৎসকদের একাংসের বক্তব্য, গ্রাম ও শহরে একগুচ্ছ এমন ‘মিনি হাসপাতাল’ গড়ে উঠলে উন্নত হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা।
কেমন হবে সেই সেন্টারের পরিকাঠামো? আলো-বাতাস আসে এমন পরিচ্ছন্ন ক্লিনিক রুম, ওষুধ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, রোগীদের তথ্য ও রেজিষ্টার রাখার পর্যাপ্ত জায়গা, রোগ নির্ণয়ে গবেষণাগার ও উপযুক্ত পরিকাঠামো, জল ও ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ২০-২৫ জন রোগীর বসার জায়গা, পুরুষ ও মহিলা শৌচাগার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, প্রতিটি হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে সিএইচও-রা যোগ দিলেই চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত হবে। দূর হবে পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy