Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাজার দাপাচ্ছে বাজিরাও মস্তানি

পর্দায় সাড়া ফেলার পরে বাঁকুড়ার পুজোর বাজারেও নজর কাড়ল বাজিরাও মস্তানি! যুবতী থেকে কিশোরী অধিকাংশেরই পছন্দের চুড়িদার এ বার বাজিরাও মস্তানি। ছোট্ট শিশুরা মজল জামা, প্যান্ট জ্যাকেটের সেটে। যুবকদের মধ্যে ব্র্যান্ডেড জিনস ও শার্টের ঝোঁক বেড়েছে। শড়িতে পাল্লা ভারী ব্যাঙ্গালুরু হ্যান্ডলুম সিল্ক ও তাঁতের।

বিষ্ণুপুরের বাজার।—নিজস্ব চিত্র

বিষ্ণুপুরের বাজার।—নিজস্ব চিত্র

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪৩
Share: Save:

পর্দায় সাড়া ফেলার পরে বাঁকুড়ার পুজোর বাজারেও নজর কাড়ল বাজিরাও মস্তানি! যুবতী থেকে কিশোরী অধিকাংশেরই পছন্দের চুড়িদার এ বার বাজিরাও মস্তানি। ছোট্ট শিশুরা মজল জামা, প্যান্ট জ্যাকেটের সেটে। যুবকদের মধ্যে ব্র্যান্ডেড জিনস ও শার্টের ঝোঁক বেড়েছে। শড়িতে পাল্লা ভারী ব্যাঙ্গালুরু হ্যান্ডলুম সিল্ক ও তাঁতের।

গত দু’-তিন সপ্তাহ ধরেই বাঁকুড়ায় পুজোর বাজারের ভালই ভিড় জমছে। তবে তাল কেটে দিয়েছিল গত কয়েক দিনের বৃষ্টি। যদিও পুজোর আগে শেষ রবিবারের বেচাকেনার পরে তৃপ্তির হাসি দেখা গিয়েছে বিক্রেতাদের মুখে।

এ দিন সকাল থেকেই বাঁকুড়ায় অস্বস্তিকর প্যাচপ্যাচে গরম ও চাঁদি ফাটা রোদ্দুরে নাজেহাল হয়েছেন মানুষ। যদিও চকবাজারে শেষ মুহূর্তের পুজোর কেনাকাটার ভিড় দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার পুজোয় ভাল ব্যবসা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন রানিগঞ্জমোড়ের একটি পোশাক দোকানের মালিক রুমেলা চক্রবর্তী। এ বার পুজোয় ফ্যাশন ট্রেন্ড কেমন? রুমেলাদেবী জানান, কিশোরী থেকে যুবতীদের এ বার নজর টেনেছে ‘বাজিরাও মস্তানি’ চুড়িদার। এ ছাড়া ঢিলে প্যান্টের ‘প্লাজো’ ও সামনে চেন দেওয়া ‘ক্যাপটপে’র দিকে ঝুঁকেছেন বহু কম বয়েসি মেয়ে। অন্যদিকে নামি কোম্পানির শার্ট ও জিনসের চাহিদাও এ বার বেড়েছে। ছোটদের জন্য বেশি বিক্রি হয়েছে প্রিন্টেড জ্যাকেট, গেঞ্জি ও প্যান্টের সেট। রুমেলাদেবীর কথায়, “মানুষের রুচির বদল হচ্ছে। বিশেষ করে কম বয়েসি ছেলেমেয়েরা ব্র্যান্ডের কদর ভালই বুঝছে।’’

অনেকটা একই সুরে কথা বলছেন বিষ্ণুপুর কলেজ মোড়ের এক বস্ত্র বিক্রেতা ফাল্গুনী দাসও। রবিবার বিকেল পর্যন্ত বিষ্ণুপুরের বাজারে আশাতীত ভিড় না হলেও সন্ধ্যার পরে বাজারে ভিড় জমে। ফাল্গুনীবাবুর কথায়, “ব্র্যান্ডের চাহিদা আস্তে
আস্তে বাড়ছে।’’

শাড়ির বাজারে এ বার চুটিয়ে বিকোচ্ছে বেঙ্গালুরুর হাতেবোনা তাঁতের শাড়ি। বাঁকুড়ার মাচানতলামোড় সংলগ্ন শাড়ির দোকানের মালিক কৌশিক কুণ্ডু জানান, চার হাজার থেকে সাত হাজার টাকা দামের বেঙ্গালুরু তাঁত এ বার অন্য শাড়ির চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের কেন টানছে এই শাড়ি? কৌশিকবাবু বলেন, “শাড়িটি খুবই হালকা। ডিজাইনেও আভিজাত্য রয়েছে। এককথায় দেখতেও ভাল আবার পরেও আরাম। তাতেই মজেছেন ক্রেতারা।”

বেঙ্গালুরু তাঁত ছাড়াও সিল্ক, ঢাকাই-ও এ বারের পুজোর বাজারে ভালই ক্রেতা টেনেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিষ্ণুপুরের বালুচরির চাহিদা আগের থেকে কমেছে। শাড়ি বিক্রেতাদের মতে, ‘‘বালুচরিতে নতুনত্বের দরকার।’’ সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলাতে না পারায় বাজারে দৌড়ে অন্যান্য শাড়ির তুলনায় পিছয়ে যাচ্ছে জেলার এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শাড়ি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE