বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে এ দেশের ২০ জওয়ানের। গোটা দেশ সেই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে। বিশ্বভারতীও তার ব্যতিক্রম নয়। শুক্রবার বেলা ১১টায় বিশ্বভারতীতে একটি স্মরণসভার মধ্য দিয়ে শোক প্রকাশ করা হল নিহত সেনা জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশে। এ দিন বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসের সামনে একটি অস্থায়ী শহিদ মঞ্চ তৈরি করে সেখানে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়। স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ বহু অধ্যাপক, কর্মী, আধিকারিক, ছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনীরা। এ দিন শুরুতে একটি গান এবং দু’মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের স্মৃতির উদ্দেশে। এর পরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর বক্তৃতায় সেনা জওয়ানদের গৌরবের কথা স্মরণ করেন এবং একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসার ডাক দেন। এ দিন উপস্থিত সকলেই অস্থায়ী শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন।
সীমান্তে নিহত সেনা জওয়ানদের মধ্যে রাজেশ ওঁরাও বীরভূম জেলার বাসিন্দা। স্মরণসভায় আর্থিক ভাবে রাজেশের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতন কর্মীমণ্ডলীর যুগ্ম-সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “রাজেশের জন্য আমরা গর্বিত। একই সঙ্গে তাঁর মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত। রাজেশ বীরভূমের এক প্রান্তিক পরিবারের সন্তান। তাই আর্থিক ভাবে বিশ্বভারতী যথাসম্ভব তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।’’ উপাচার্য উপস্থিত সকলকে যথাসাধ্য অর্থ সাহায্য করার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে বিশ্বভারতী পরিবারের অন্যান্যদেরও কিশোর ভট্টাচার্য, অরবিন্দ মণ্ডল, বিপ্লব লোহচৌধুরি এবং বিকাশ গুপ্তের কাছে অর্থসাহায্য করার অনুরোধ জানান। কিশোরবাবু জানান, স্মরণসভাতেই প্রায় ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের সংগৃহীত অর্থ বিশ্বভারতীর প্রতিনিধিদল গিয়ে পৌঁছে দেবে রাজেশের পরিবারের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy