অগস্টে পঞ্চায়েত মামলার রায়ের পরে বিজয় মিছিলকে ঘিরে তৃণমূলের দুই ‘গোষ্ঠীর’ মধ্যে সংঘাত ও বোমাবাজির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সদাইপুর থানা এলাকার তুরুকবড়িহাট। মাসখানেক পরে রবিবার ফের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল ওই গ্রামে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি ১ ব্লকের ভূরকুনা অঞ্চলের মধ্যেই রয়েছে ওই গ্রামটি। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে তৃণমূলের দু’টি বিবাদমান গোষ্ঠী রয়েছে। একটি ক্ষমতাসীন, অন্যটি বিক্ষুব্ধ। গত বার ঝামেলা বেঁধেছিল পঞ্চায়েত মামলার রায়ের বিজয় উৎসব ঘিরে।
জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের পরে সভধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সহ ৪১ সদস্যের সঙ্গে শুক্রবার সিউড়িতে অনুষ্ঠিত সভায় একপক্ষের ডাক না পাওয়া ঘিরে এ দিন ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, বিক্ষুব্ধদের দমাতে বোমাবাজি করে শাসকদলের ক্ষমতসীন গোষ্ঠী।
বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর তরফে শেখ গরিব বলেন, ‘‘আমি এক বার তৃণমূলের সদস্য ছিলাম। দু’বার এলাকায় তৃণমূলকে জিতিয়েছি। কিন্তু আমাকেই কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতাসীন সদস্যদের তরফে শুক্রবার যে বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন, তাতে তাঁদের জায়গা হয়নি। তাঁদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।
বোমাবাজির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি রত্নাকর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন ছোট গাড়িতে লোক নিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরবাইক আরোহীর গায়ে কাদা লাগে। আরও কয়েক জনের গায়ে কাদা লেগে থাকতে পারে। সেটা নিয়ে মহিলাদের মধ্যে বচসা হয়। বোমাবাজি হয়নি। উত্তেজনা ছিল বলে পুলিশ এসেছে।’’
তৃণমূলে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও টিকিট না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ ছিল। বিক্ষুব্ধরা যাতে দলের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী না দেন, তা আটকাতে আসরে নামেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম। নেতাদের আশ্বাসে তখনকার মতো নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এলেও, অসন্তোষ ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত অগস্ট থেকেই এলাকা অশান্ত হয়ে আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ফের ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
এ বিষয়ে দলের ব্লক সভাপতি তথা সিউড়ি ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ বলছেন, ‘‘তেমন কোনও ঘটনা বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। তবে ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy