বিক্ষোভ: পাইকরে রেশন ডিলারকে ঘিরে দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন উপভোক্তারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পাইকর থানার ননগড় গ্রামে। ব্লক প্রশাসন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ক’দিন আগেই মুরারইয়ের রাজগ্রাম গোপালপুরের রেশন ডিলারকে রেশন বিলিতে অনিয়মের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হন ওই ডিলার।
উপভোক্তাদের অভিযোগ, চাল ও আটা কম দিচ্ছিলেন রেশন ডিলার। এই নিয়ে মঙ্গলবার কয়েক জন প্রশ্ন করলে ডিলার বলেন, যত পরিমান বরাদ্দ আছে, ততটাই সামগ্রী দেওয়া হবে। উপভোক্তারা পাশের গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রতি রেশন কার্ড থেকে মাসে দুই কেজি চাল এবং ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম আটা দেওয়া হচ্ছে। উপভোক্তাদের দাবি, ননগড়ের ডিলার কার্ড প্রতি চাল দুশো থেকে তিনশো গ্রাম কম এবং আটা এক প্যাকেট (১ কেজি) করে দেওয়া হচ্ছিল। এই খবর চাউর হতেই উপভোক্তারা রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলে। পরে মুরারই ২ ব্লকের খাদ্য আধিকারিক এসে আশ্বাস দেন, সকল উপভোক্তাকে সরকারি নির্দেশ মতো রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরে বিক্ষোভ তুলে ওঠে।
গ্রামবাসী নুরসালাম শেখ, মন্টু শেখরা বলেন, "লকডাউনের ফলে এমনিতেই আমাদের রোজগার বন্ধ। হাড়িতে খাবারের টান। সরকারের রেশন নিয়ে কোনও রকম সংসার চালাচ্ছি। এই সময় ডিলার কম পরিমানে খাদ্য সামগ্রী দিলে আমরা না খেতে পেয়ে মরে যাব। তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমরা রেশন ডিলারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।" রেশন ডিলার রঘুনাথ হাজরার যদিও দাবি, "বস্তা ছেঁড়া থাকায় কম পরিমাণে সামগ্রী পাচ্ছি। তাই একটু করে কম দিয়েছি উপভোক্তাদের। তবে যতটা কম দেওয়া হয়েছে, পরে আবার দিয়ে দেব।"
বিডিও (মুরারই ২) অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, "আমাদের অফিসের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বকেয়া চাল ও আটা উপভোক্তাদের দেওয়া জন্য রেশন ডিলারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy