ধান ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত তিন জন— আজিম খান, দুলু খান এবং গাজিউদ্দিন শেখের সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ধৃত সুকুর শেখের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। রবিবার রামপুরহাট আদালতের বিচারক প্রিয়াঙ্কা প্রধান এই নির্দেশ দিয়েছেন।
ধৃতদের মধ্যে আজিম খান ও দুলু খান কান্দির কাউন্সিলর অপহরণ কাণ্ডে যুক্ত সন্দেহে তাদের রিমান্ডে চেয়ে কান্দি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কান্দি পুলিশ। ওই দু’জনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানা এলাকার ভবানীনগরে। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’জনকে আগামী বুধবার কান্দি আদালতে তোলার নির্দেশ হয়েছে। সেই মোতাবেক এ দিন রামপুরহাট উপ-সংশোধনাগারে আবেদন জমা করেছে কান্দি পুলিশ।
তবে রামপুরহাট আদালতে বিচারাধীন মামলার সরকারি আইনজীবী অতীন্দ্রকুমার মণ্ডল দাবি করেন, এ দিন রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে কান্দি থানা থেকে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। অতীন্দ্রবাবু জানান, গত ২৯ অগস্ট, কৌশিকী অমাবস্যার আগের দিন দুপুরে মুর্শিদাবাদের পার্বতীপুর গ্রামের ধান ব্যবসায়ী মেহেবুব শেখ রামপুরহাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে রামপুরহাট-পারুলিয়া রাস্তায় তারাপীঠ থানার ধল্লা ও রামভদ্রপুর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় চার দুষ্কৃতী তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। তিনি জানান, ধৃতদের মধ্যে গাজিউদ্দিন এবং সুকুর বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার জবুনি গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন ছিনতাইয়ে ধৃতদের টিআই প্যারেডের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক।
এ দিন আজিম খান ও দুলু খান দাবি করেন, তাঁরা কাউন্সিলর অপহরণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। রামপুরহাট আদালতে এসেছিলেন দুলু খানের বাবা কালু শেখ, মা ফুলে বিবি এবং আজিম খানের শ্বশুর হারুন রসিদ। তাঁরাও দাবি করেছেন, ওই দু’জন নির্দোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy