Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে খুন! গ্রেফতার স্বামী

পুলিশকে ঘন্টু জানিয়েছেন, ৫ ফেবেরুয়ারি রাতে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সবিতাকে রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।পরের দিনসেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

কেরোসিন ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে শনিবার রাতে কোটশিলার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম চণ্ডী কর্মকার।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কোটশিলার রিগিদ গ্রামে সবিতা কর্মকার নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর বাবা ঘন্টু কর্মকারের অভিযোগ, পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। কোটশিলার বড়রোলার সবিতার সঙ্গে রিগিদের বাসিন্দা চণ্ডীর বিয়ে হয়েছিল ২০১০ সালে। ঘন্টুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত চণ্ডী। বাপেরবাড়ি চলে এলে পরিবারের সদস্যেরাই সবিতাকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরত পাঠাতেন। কিন্তু অত্যাচার থামেনি।

পুলিশকে ঘন্টু জানিয়েছেন, ৫ ফেবেরুয়ারি রাতে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সবিতাকে রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।পরের দিনসেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গত শুক্রবার সবিতাদেবীর বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সবিতার স্বামী তাঁকে পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঘণ্টু। অগ্নিদগ্ধ সবিতাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট না করে সরাসরি রাঁচির হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বাঁচানো যেত। ঘণ্টুর অভিযোগ, ইচ্ছা করেই সবিতাকে দেরি করে রাঁচি নিয়ে গিয়েছিল তাঁর স্বামী।

মেয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছে খবর পেয়ে রাঁচির হাসপাতালে গিয়েছিলেন ঘণ্টু। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘণ্টু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, চণ্ডীই যে সবিতার গায়ে আগুন লাগিয়েছিল, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েই সে কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। চণ্ডীকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jhalda Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE