সারা বছর তিনি মা তারা। কালীপুজোয় তারাপীঠের সেই মা তারা কালী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। সেবায়েতদের কাছে মা তারা এই দিনটায় তারা অঙ্গে কালী রূপে বিরাজ করেন। কালী পুজোর রাতে মা তারা স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত হন। আর স্বর্ণালঙ্কার শোভিত রাজ রাজেশ্বরী বেশে মা তারার দর্শন পাওয়ার জন্য কালী পুজোর দু’দিন আগে থেকেই তারাপীঠে দর্শনার্থীরা ভিড় করতে শুরু করেছেন। তারাপীঠ মন্দির চত্বর তো বটেই, গোটা তারাপীঠই উৎসবের আনন্দে সেজে উঠেছে। দর্শনার্থীদের জন্য ইতিমধ্যেই তারাপীঠের ছোট-বড় লজগুলি ঝকঝক করছে দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে।
তারাপীঠ মন্দির সেবায়েত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, মা তারা র মন্দির চত্বরও আলোর মালায় সাজানো হচ্ছে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এবং তারা মাতা সেবায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সোমবার থেকে সেই পদক্ষেপ করা হয়েছ। মন্দির সেবায়েত সমিতির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলইডি আলোর রোশনাই থাকলেও সেবায়েত বাড়ির মহিলারা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে যে ভাবে দীপাবলির রাতে মন্দির চত্বর সাজিয়ে তোলেন তা অত্যন্ত নান্দনিক এবং নয়নাভিরাম।’’
অন্যান্য অমাবস্যা তিথির থেকে কালীপুজোর দিন গভীর রাতে সেবায়েতদের মতে নিশিপুজো হয় তারা মায়ের। নিশি পুজোর সময় মা তারাকে স্নান করিয়ে বেনারসী শাড়ির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত করা হয়। তারাময়বাবু ও ধ্রুববাবু জানান, কালীপুজোর দিন মা তারার জন্য দু’বেলা অন্নের ভোগ হয়। অন্নের ভোগে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, দু-তিন রকমের তরকারি, মাছ থাকে। একই সঙ্গে মন্দির চত্বরে ছাগ বলিদানের মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও সন্ধ্যারতির সময় লুচি-মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়।
কালীপুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বর-সহ তারাপীঠ শ্মশান এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এখনও কাজ চলছে। আগামী দিনে তারাপীঠ মন্দিরে অত্যাধুনিক ভোগঘর থেকে সৌর উনুনে ভোগ রান্নার ব্যবস্থা হবে। মন্দির চত্বরে মা তারার আরতি দর্শনের বন্দোবস্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy