কাত: মানবাজার ১ ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র
সুনসান রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মেয়েটি। হঠাৎ তার উপরে চড়াও হয় দুই যুবক। তার পরে যা ঘটে, ওই দুই যুবকের তা প্রত্যাশা করার কথা নয়। মেয়েটি কয়েকটি প্যাঁচে ধরাশায়ী করে ফেলে দু’জনকেই। আর হাততালিতে ফেটে পড়ে ঘর।
পুরো ঘটনাটা আসলে ক্যারাটের মহড়া। মানবাজার ১ ব্লক অফিস চত্বরে শুক্রবার, কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে শোতোকান ক্যারাটের প্রদর্শনী হল। ছিলেন মানবাজারের বিধায়ক তথা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েদের স্বনির্ভরতার জন্য আত্মরক্ষার পাঠ জরুরি।’’ কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এ দিন সকালে মানবাজার এলাকার কয়েকটি স্কুলের কয়েকশো ছাত্রী কন্যাশ্রী র্যালিতে যোগ দেয়। ছৌ মুখোশে সজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিক্রমা করা হয়। ব্লক অফিসের সভাঘরে এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশু ও নারী কল্যাণ বিভাগের কর্মাধক্ষ্য নিয়তি মাহাতো, এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার, মানবাজার ১ ও পুঞ্চার বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর পুরস্কার বিতরণ করে কন্যাশ্রী দিবস উদ্যাপন নয়, আমরা চেয়েছিলাম অন্য কিছু করতে। তখনই ক্যারাটে শেখানোর ভাবনাটা মাথায় আসে।’’ তিনি জানান, পুরুলিয়ার একটি ক্যারাটে ক্লাবের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। ওই ক্লাব মেয়েদেরও ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দেয়। তারাই কন্যাশ্রী মেয়েদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণর দায়িত্ব নিয়েছে।
মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল শ্রীমাণি জানান, মেয়েদের এই ক্যারাটে প্রদর্শনীতে ভাল সাড়া মিলেছে। মানবাজার মহকুমায় বর্তমানে কে ওয়ান গ্রুপের কন্যাশ্রীর সংখ্যা ১৫ হাজার। কে টু গ্রুপে কন্যাশ্রী ছাত্রীদের সংখ্যা ২৯১৯। তাদের অনেকেই ক্যারাটে শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে প্রশাসনের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy