এরকমই বেহাল দশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। —নিজস্ব চিত্র
এক সময় স্বাভাবিক প্রসবে রাজ্যে সেরার শিরোপা পেয়েছিল নানুরের কীর্ণাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রই এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ‘মাতৃমঙ্গল’ প্রকল্পে স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। জেলা প্রশাসনের তরফে পুরস্কারও পায়। তখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন চন্দন ঘোষ। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, সেই সময় ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা মিলত। থাকতেন চিকিৎসক, নার্স। অভিযোগ, চন্দনবাবু চলে যাওয়ার পর থেকেই পরিষেবা নিয়ে সমস্যা শুরু হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। জীর্ণ তার আবাসন। দিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে গরু, ছাগল ঘুরে বেড়ায়। রাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসনের ‘দখল’ নেয় দুষ্কৃতীরা। স্বাস্থ্য পরিষেবা মেলে শুধু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে রোগী সুস্থ হলে ভাল, না হলে অন্য জায়গায় ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি চলে যান। ওই সময়ে সুস্থ না হলে রোগীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সুবীর মণ্ডল বলেন, কীর্ণাহার লাগোয়া ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুমন চৌধুরী ও প্রদীপকুমার দত্ত জানান, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবেই এখন আগের মতো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নানুর ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিক মহম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘‘আমি সবে এখানে কাজে যোগ দিয়েছি। মৌখিক ভাবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যার কথা শুনেছি। শীঘ্রই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy