উদ্ভাসিত: আলোয় সেজেছে ঘড়িস্তম্ভ। মঙ্গলবার রামপুরহাটের পাঁচমাথা মোড়ে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে আলো জ্বলল রামপুরহাটের ৪২ ফুট উচ্চতার ঘড়িস্তম্ভে। শহরের সৌন্দর্যায়নে গড়ে তোলা হয়েছিল স্তম্ভটি। ব্যয় হয়েছিল ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা।
এত দিন আলো না থাকায় শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে চলাফেরায় অসুবিধে হত অনেকেরই। কেন আলো জ্বলতে দেরি হচ্ছে, এই নিয়ে কোনও কোনও মহলে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ থেকে এই ঘড়িস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে ঘড়িস্তম্ভের চার দিকের চারটি ঘড়ির চার রকম সময় নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরে ঠিক হলেও ঘড়িস্তম্ভের বাতি লাগানো হয়নি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ কিছু দিন আগে ঘড়িস্তম্ভ রামপুরহাট পুরসভাকে হস্তান্তর করে। পুরসভা দায়িত্ব নেওয়ার পরেও ঘড়িস্তম্ভের আলো শুরুতেই জ্বলেনি। কিন্তু, দিনের শেষে আলো জ্বলে যাওয়ায় খুশি সকলেই। রামপুরহাট গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্রনাথ আচার্য বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে ঘড়িস্তম্ভে আলাদা মিটার সহ স্থায়ী সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’’ তারাপীট রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ ফুট উচ্চতার ঘড়িস্তম্ভের সর্বোচ্চ চূড়া এবং ঘড়িস্তম্ভের বিভিন্ন ধাপে আলোর ব্যবস্থা আছে। পর্ষদের সহকারী চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, ঘড়িস্তম্ভ রামপুরহাট পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরসভার। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, আলো জ্বলে গিয়েছে। শহরের উন্নয়নের সঙ্গে আপোস করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy