রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে সফর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
এক মাসে দ্বিতীয় বার জেলায় আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের ২ জানুয়ারি বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক এবং ৩ জানুয়ারি ইলামবাজারে বাউল ও লোক-উৎসবের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ২৯ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাটে আসতে পারেন। সেই সফরে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পরে রামপুরহাটে সভা করতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সোমবার রামপুরহাট থানার শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন রামপুরহাট ছ’ফুঁকো থেকে সানঘাটা বাইপাস রাস্তার ধারে ধানখেতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে দেখেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এবং জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ সহ প্রশাসনের অন্য কর্তারা। সঙ্গে ছিলেন পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি, উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকার, তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য সহ অন্য নেতৃত্ব। সভামঞ্চ থেকে ১৫০ মিটার দূরে হ্যালিপাড তৈরির জায়গাও পরিদর্শন করেন। সভাস্থলে পৌঁছনোর জন্য বাইপাস রাস্তা থেকে মাঠের দিকে ভারী গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য পূর্ত দফতরের জেলা মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক প্রদীপ পালকে নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার। সভামঞ্চের পরিমাপও বুঝিয়ে দেন পুলিশ সুপার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়ক থেকে নেমে সভাস্থলে আসার আগে পাঁচটি ব্যরিকেড করা হবে। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থল থেকে কিছু দূরের মাঠে বেশ কয়েকটি স্টল করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সভা থেকে কিছু পরিষেবাও উপভোক্তাদের দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক যান তারাপীঠের তীর্থযাত্রীদের জন্য নবনির্মিত হ্যালিপাডে। সেখান থেকে রামপুরহাটের সেচ দফতরের লাগোয়া সার্কিট হাউস পরিদর্শন করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য তারাপীঠ ঢোকার আগে চিলার মাঠে হ্যালিপাড তৈরি করা হবে। সেই জায়গাও ঘুরে দেখেন। তবে কর্মসূচি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy