Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পাম্পঘর তালাবন্ধ

বছর খানেক আগে কৃষকদের সুবিধার জন্য একটি সাবমার্সিবল পাম্প চালু করা হয়েছিল। সেই পাম্প-ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হল পাম্প রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হারাবতী গ্রামেরর ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০১:২৬
Share: Save:

বছর খানেক আগে কৃষকদের সুবিধার জন্য একটি সাবমার্সিবল পাম্প চালু করা হয়েছিল। সেই পাম্প-ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হল পাম্প রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হারাবতী গ্রামেরর ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের চাষিদের সেচের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েত সরকডাঙায় ওই পাম্পটি বসিয়েছিল। কমিটি গঠন করে এলাকার প্রায় ৮০টি পরিবার ওই পাম্পটি সেচের কাজে ব্যবহার করত। ঘণ্টাপিছু জলের জন্য কমিটিকে ৮০ টাকা করে দিতে হত।

কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিকেলে পাম্পঘরে গ্রামেরই কয়েক জন বাসিন্দা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই গ্রামের বাসিন্দা রামপদ রায়, আদিত্য নন্দী, শুকদেব পাল, ধরণী রায়দের অভিযোগ, ‘‘পাম্প-ঘরের চাবি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা। সেচের কাজে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।’’ তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার প্রাথমিক ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় এ দিন বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁরা অভিযোগে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম করেননি।

বিডিও (বিষ্ণুপুর) জয়তী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাগর সাউ বলেন, ‘‘ওই সাবমার্সিবল রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এসেছিল। এখন ওই কমিটির লোকজনেরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যাটি মেটাবার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

pumping station
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE