Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় শুরু বিস্তারক যোজনা ঘুরলেন লকেট, ভোটের আগে জোর সংগঠনে

বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য সহ সভাপতি মালা ভট্টাচার্য বুধবার রামপুরহাট থেকে সেই কাজ শুরু করে দিলেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০১:৩৪
Share: Save:

রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে ‘বিস্তারক’ পাঠিয়ে সংগঠন মজবুত করার কথা আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। সেই কাজ যে বীরভূম থেকেই শুরু হবে, নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছিল তা-ও। বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য সহ সভাপতি মালা ভট্টাচার্য বুধবার রামপুরহাট থেকে সেই কাজ শুরু করে দিলেন। দলের জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানান, ‘বিস্তারক অভিযান যোজনা’ জেলার ৪০টি মণ্ডল কমিটির ২,৯৩২টি বুথে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে। এ কাজ শুরুর দিনেই ইলামবাজারে এক বিজেপি সমর্থকের পরিবারের তিন জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

বিজেপি সূত্রের খবর, বিস্তারক হবেন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক সদস্য। যিনি এলাকায় ঘুরে দলের আদর্শ তুলে ধরবেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সকলে পাচ্ছেন কি না দেখবেন। দলের নতুন সদস্য তৈরি ও পুরনো সদস্য পুনর্নবীকরণও তাঁর দায়িত্ব। দিন কয়েক আগেই জেলা কমিটির বৈঠকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দিয়েছিলেন, অঞ্চল এবং ব্লক সভাপতিদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সেই মতো কাজ শুরু করছে শাসকদলও। দু’টি রাজনৈতিক দলের এই ‘বাড়ি চলো’ অভিযানকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

এ দিন লকেট চট্টোপাধ্যায় রামপুরহাট পুর এলাকার ৫, ৬, ৮ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বুথভিত্তিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। অন্য দিকে, মালা ভট্টাচার্য মুরারই বিধানসভা এলাকায় কর্মসূচিতে সামিল হন। আজ, বৃহস্পতিবার লকেট রামপুরহাট ১ এবং ২ নম্বর মণ্ডল কমিটির প্রচারে থাকবেন। মালাদেবী বৃহস্পতিবারও মুরারই বিধানসভা এলাকায় থাকবেন। রাজ্যনেত্রী লকেট বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, রাজ্যের মানুষ সেই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে কি না জানা, না পেলে কেন পাননি সেট বোঝা। এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে বিস্তারক অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

এ দিন রামপুরহাটের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন লকেট। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী, রামপুরহাট মণ্ডল কমিটির সভাপতি শান্তনু মণ্ডল-সহ জেলার মহিলা নেতৃত্ব। কেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই অভিযান শুরু হল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিজেপি। গত পুরভোটে এই ওয়ার্ডে জিতেছিল বিজেপি। তবে বিজেপি-র সেই জয়ী কাউন্সিলর ভগীরথ দাস এখন অবশ্য তৃণমূলে। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করেন, কাউন্সিলর দলত্যাগ করলেও কর্মীরা দলের সঙ্গেই আছেন। এলাকায় দলের কিছুটা সংগঠনও রয়েছে।

বুধবার ১৮ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু বাড়িতে যান লকেট। সেখানে অনেকেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেন। কেউ কেউ বিজেপি করায় রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। আবার কেউ অভিযোগ করেন, বিজেপি করার জন্য শাসকদলের লোকেরা পথেঘাটে ভয় দেখাচ্ছে। লকেট তাঁদের পরামর্শ দেন, ‘‘মনে সাহস রেখে বিজেপি করুন। কোনও অসুবিধা হলে দলের নেতারা তাঁদের পাশে আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE