Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির প্রার্থীর হাতেও নকুলদানা

নকুলদানা কারও একার নয়, এই দাবি করে রবিবার শিব মন্দিরে গিয়ে ভক্তদের হাতে নকুলদানা তুলে নিলেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার।

হাতে-হাতে: বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে সুভাষ সরকার। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

হাতে-হাতে: বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে সুভাষ সরকার। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৬
Share: Save:

লোকসভা ভোটের শুরু থেকেই এ বার চর্চার কেন্দ্রে এসে গিয়েছে ‘নকুলদানা’। ভোটে বাজিমাত করতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এ বার নকুলদানার উপর ভরসা রাখছেন। নকুলদানার ‘দানা’ শব্দটির মধ্যে আবার বিরোধীরা কেউ কেউ অন্য ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন। এ বার সেই নকুলদানা উঠে এল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থীর হাতেও। সিমলাপালের নেতারাও মুঠো মুঠো নকুলদানা তুলে দিলেন বাসিন্দাদের হাতে। কে কাকে টেক্কা দিলেন তা নিয়েই বাংলা বছরের শেষ দিনে রবিবার মিষ্টি-চর্চায় মেতে থাকলেন জেলাবাসী।

নকুলদানা কারও একার নয়, এই দাবি করে রবিবার শিব মন্দিরে গিয়ে ভক্তদের হাতে নকুলদানা তুলে নিলেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। পিছিয়ে থাকতে নারাজ তৃণমূলের সিমলাপাল ব্লকের পার্শ্বলা অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বও। তাঁরাও ওই এলাকায় এ দিন বাসিন্দাদের মুঠো মুঠো নকুলদানা তুলে দেন।

এ দিন সকালে বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন সুভাষবাবু। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দু’কেজি নকুলদানা। পুজো দিয়ে থালায় ঢেলে নিজের হাতে তা পরিবেশন করলেন ভক্তদের।

তিনি দাবি করেন, “নকুলদানা কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এক তৃণমূল নেতা ভোটারদের ভয় দেখাতে অন্য অর্থে নকুলদানার কথা শুনিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে দীর্ঘকাল ধরে নকুলদানা প্রসাদী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক একে কালিমালিপ্ত করতে পারবে না।”

তা শুনে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ দাবি করেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী অহেতুক আতঙ্কে ভুগছেন। তাই এ সব বলছেন। অনুব্রতবাবু নকুলদানাকে প্রসাদী ও গরমে উপকারী বলেই উল্লেখ করেছেন।”

এ দিন সিমলাপাল ব্লকের অঞ্চল যুব তৃণমূলের তরফে স্থানীয় একটি গাজন উৎসবে নকুলদানা বিলি করা হয়। পার্শ্বলা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি বিবেকানন্দ সিংহ মহাপাত্র দাবি করেন, ‘‘আমাদের দরাজ মন। তাই এক কিলো, দু’কিলো নয়, ৬০ কেজি নকুলদানা বিলি করেছি। মানুষজনও খুশি। গরমে নকুলদানা খেয়ে জল খেলে শরীর ঠান্ডা হয়।’’

নকুলদানা নিয়ে সুর যতই চড়ুক, ভোটের বাজারে সাদা ধবধবে মিষ্টি স্বাদের এই খাবারের দর ক্রমশ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাঁকুড়ার নকুলদানা বিক্রেতা কালী দত্ত বলেন, “এত দিন তৃণমূলের লোকজনই বেশি নকুলদানা কিনছিলেন, এ বার বিজেপিও কেনা শুরু করলে আমাদের পোয়াবারো হবেই হবে।”

ঠাকুরঘরের কৌটো থেকে মুক্তি পেয়ে নকুলদানা গড়াচ্ছে ভোটের ময়দানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE