Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুরুলিয়া কেন্দ্রে নেপাল, বিষ্ণুপুরে নারায়ণ

বাঁকুড়া কেন্দ্রে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৯
Share: Save:

দেওয়ালে তাঁর নাম আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। এ বার নামের পাশে দলের শিলমোহরও পড়ল। সোমবার কংগ্রেস রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে পুরুলিয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে রয়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর নাম। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নারায়ণচন্দ্র খাঁ। সেখানে আবার দেখা দিয়েছে তর্জা। দলের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক নীলমাধব গুপ্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অন্য দিকে, বাঁকুড়া কেন্দ্রে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

নেপাল মাহাতোর বাবা দেবেন মাহাতো কংগ্রেসের সাংসদ এবং বিধায়ক ছিলেন। দাদা সুভাষ মাহাতোও ঝালদা কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় গিয়েছিলেন। নেপালবাবু নিজে জেলার চার বারের বিধায়ক। বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের ডেপুটি লিডার। লোকসভা ভোটেও পুরুলিয়া কেন্দ্র থেকে লড়েছেন একাধিক বার। তবে শুরুটা হয়েছিল একটা টানাপড়েন দিয়েই।

২০০১ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং তৃণমূল জোট করেছিল। সেই সময়ে ঝালদার আসনটি তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ হয়। নেপালবাবু তখন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। তিনি পদত্যাগ করে নির্দল হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামেন। মন্ত্রী সত্যরঞ্জন মাহাতোকে হারিয়ে প্রথম নির্বাচনেই জয়ী হন। তার পরে কংগ্রেসে ফিরেছেন। অনেক পুরনো মুখ দল ছেড়ে গেলেও নেপালবাবু এখনও জেলায় কংগ্রেসের মুখ হয়েই রয়েছেন। এই লোকসভা ভোটের মরসুমে এক বার জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়, নেপালবাবু দলবদল করতে পারেন বলে। যদিও তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীসভা থেকে সেই রটনা উড়িয়ে দেন। তার পরে কংগ্রেস কিছু ঘোষণা না করলেও তাঁর নামেই দেওয়াল লেখা শুরু হয়ে যায় পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায়। নেপালবাবু এ দিন বলেন, ‘‘দল, দলের কর্মী এবং পুরুলিয়ার মানুষ চেয়েছেন বলেই আমি প্রার্থী হলাম।’’

বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে গত বারও কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন দলের প্রবীণ নেতা নারায়নচন্দ্র খাঁ। নারায়ণবাবু বড়জোড়ার মনোহর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা গুরুপদ খাঁ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন। নারায়ণবাবু ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে আসেন। বর্তমানে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি। ওই সংগঠনের রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্যও।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সেই কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত বলেন, “জেলার তরফে প্রার্থী হিসেবে ওঁর নাম পাঠানো হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য দলের তরফে পাঠানো টাকাও খরচ করেননি উনি। ওঁকে যাতে বিষ্ণুপুরে প্রার্থী না করা হয়, দলের কাছে সেই দাবি তুলব।” তবে নারায়ণচন্দ্রবাবু টাকা না খরচ করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশই চূড়ান্ত। এটা সবাইকে মানতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE