Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কমিশনের নির্দেশ পেয়ে বদলি, দায়িত্ব পেলেন ডিএসপি

সোমবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট সাত জন পুলিশ আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দেয়।

সুকোমলবাবুকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। —ফাইল চিত্র।

সুকোমলবাবুকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০৫
Share: Save:

বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকোমলকান্তি দাসকে বদলি করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “কমিশনের নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই বিষ্ণুপুরের এসডিপিওকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ওই পদে একজন ডিএসপিকে আনা হয়েছে।”

সোমবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট সাত জন পুলিশ আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দেয়। ওই তালিকায় রয়েছে সুকোমলবাবুর নাম। আজ, মঙ্গলবার থেকেই বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নিয়োগ করা বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার কথা। তার ঠিক আগে সুকোমলবাবুকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষের দাবি, বিজেপি নেতা মুকুল রায় নির্বাচন কমিশনের কাছে সুকোমলবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ গত জানুয়ারিতে ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিয়োতে নালিশ করেন, সুকোমলবাবু তাঁকে খুন করার চেষ্টা করছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তার পরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র। তাঁর বিরুদ্ধে পর পর বেশ কিছু অভিযোগ উঠে আসে। সেই সমস্ত মামলার জেরে আদালত এ বারের লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্রর জেলায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সোমবার ফোনে সৌমিত্র বলেন, “ওই এসডিপিওকে আরও আগে সরিয়ে দেওয়া দরকার ছিল। পরে হলেও নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিষ্ণুপুরের মানুষ শান্তিতে ভোট দিন এটাই চাই।”।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানান, তাঁরাও এসডিপিওকে সরানোর দাবি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “ভোটারদের প্রভাবিত করা থেকে শুরু করে বিরোধী দলের কর্মীদের হুমকি দেওয়া— কোনও কিছুই বাদ দেননি ওই আধিকারিক। ওঁকে সরালেই হবে না, শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে হলে জেলার পুলিশের উপরে কমিশনকে কড়া নজর রাখতে হবে।”

তবে পুলিশ বা প্রশাসনের সঙ্গে দলের কোনও রকমের যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। মানুষের জয়েই তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। আবার মানুষের আশীর্বাদেই তৃণমূল জয়ী হবে। সেই জয় উন্নয়নের জয়।”

এসডিপিওকে সরানোর নির্দেশের প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এই ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE