পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছে। তবে এ রাজ্যে একাই লড়বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। দলীয় বৈঠকের পরে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি পরেশ মারাণ্ডি। সম্প্রতি বাঁকুড়ার ছাতনাতে একটি হোটেলে লোকসভা নির্বাচন ও দলীয় সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন জেএমএম নেতারা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিরা ছাতনায় উপস্থিত ছিলেন। পরেশবাবু বলেন, ‘‘বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই একলা লড়াইয়ের উপরে জোর দিয়েছেন। তাই ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস এবং অন্যান্য কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হলেও এ রাজ্যে আমরা একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পরেশবাবু জানিয়েছেন, সংগঠন জোরদার, রাজ্যের এমন জেলাগুলিতে তাঁরা প্রার্থী দেবেন। পরেশবাবু জানান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, মালদা উত্তর, বালুরঘাট ও আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দেওয়া হবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যর পশ্চিমাঞ্চলে একসময় জেএমএমের শক্তিশালী সংগঠন ছিল। সময়ের প্রবাহে দলের মধ্যে ভাঙন ও অন্যান্য কারণে ক্রমশ শক্তি হারিয়েছে জেএমএম। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একা লড়ে পশ্চিমাঞ্চলে তেমন দাগ কাটতে পারেনি তারা।
কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জিতেছিলেন জেএএমের প্রার্থীরা। মূলত আদিবাসীদের অনুন্নয়নকেই নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় করতে চাইছে জেএমএম। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত ছ’টি জেলাকে ঝাড়খণ্ডের অন্তর্ভূক্ত করার দাবি ফের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা তুলবেন বলে জানিয়েছেন পরেশবাবু। তিনি জানান, তাঁদের মূল লড়াই তৃণমূল ও কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্য এবং কেন্দ্র, কোনও সরকারই আদিবাসীদের উন্নয়নে কিছু করেনি বলে অভিযোগ করেছে জেএমএম। দলের রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মুখে আদিবাসী উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে তারা কিছুই করেননি।” পরেশবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপির শাসনকালে গোটা রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপরে অত্যাচারের ঘটনাও বেড়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে এখন আরও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy