বোলপুরের দর্জিপাড়ায় দেওয়াল লিখন সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের।
প্রচারের প্রথম দিনেই অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় রামচন্দ্র ডোম।
শনিবার ইলামবাজার ব্লকে পাড়ুই থানার হাঁসড়ায় এক নির্বাচনী সভায় বোলপুরের সিপিএম প্রার্থীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘শুনলাম উনি ফের বোলপুরে লড়তে নেমেছেন। আগের বার ৩ লক্ষ ভোটে হেরেছিলেন। এ বার পাঁচ লক্ষ ভোটে ওঁকে হারাবো। পারবেন তো উনি জিততে?’’
অনুব্রতের মন্তব্য শুনে রামচন্দ্রবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সময় এলে মানুষই এর জবাব দেবে।’’
এ দিন বোলপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দর্জিপাড়ায় একটি দেওয়ালে লাল রঙে কাস্তে-হাতুড়ি-তাঁরা চিহ্ন এঁকে প্রচার শুরু করেন সিপিএম প্রার্থী। ওই ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁকে সমর্থনের আবেদন জানান।
অনুব্রতের নকুলদানা-মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নকুলদানা খারাপ জিনিস নয়। কিন্তু ওঁর কথার অন্য মানে রয়েছে। বিরোধী ও ভোটারদের ভয় দেখাতেই এ সব বলছেন। মানুষ সব বোঝেন। এই সব কথা যত বলবেন, মানুষের থেকে ততই বিচ্ছিন্ন হবেন।’’ রামচন্দ্রবাবু আরও বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তৃণমূলের চিহ্ন থাকবে না। লড়াইয়ের জন্য লড়াইয়ে নামিনি। জিতবো বলেই এসেছি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজনৈতিক মহলের খবর, বীরভূমের রাজনীতির ময়দানে অনেক পুরনো রামচন্দ্রবাবু। ১৯৮৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে জয়ী হন। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে পর পর ছ’বার, ১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থী ছিলেন অসিত মাল। সে বার সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্রবাবুর কাছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৮২ ভোটে পরাজিত হন তিনি। ১০ বছর পরে সেই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রেই অসিত মাল ফের তাঁর প্রতিপক্ষ। যদিও ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অনুপম হাজরার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন রামচন্দ্রবাবু। অনুপম তাঁকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy