খেলা: দুবরাজপুরে সভামঞ্চের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলই আঁচ দেবে অদূরে পুরভোটে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। তারই প্রস্তুতি হিসাবে সংগঠন মজবুত করতে কিছু দিন আগে কর্মীদের নিয়ে কর্মশালা করেছিল দুবরাজপুর শহর তৃণমূল। এ বার প্রতিটি ওয়ার্ডে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়কে নিয়ে সভার প্রস্তুতি নিল শহর তৃণমূল।
সভা, রোড-শো, স্ট্রিট কর্নার— বৃহস্পতি শুক্রবার দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোট প্রচারে শতাব্দী নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি শনি ও রবিবার বিকেলের দিকে দুবরাজপুরের ১৬টি ওয়ার্ডে ১৫টি সভা করার কথা ঠিক হয়েছে। দলের নেতারা আড়ালে মানছেন, এর উদ্দেশ্য, দলের তারকা প্রার্থীকে মানুষের সমানে হাজির করিয়ে লোকসভা ভোটের সঙ্গে পুর-নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়েছে দুবররাজপুর পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল বোর্ডের। তার পরেই পুরভোট হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখনও হয়নি। মহকুমাশাসক(সিউড়ি সদর) আপাতত দুবরাজপুর পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে। নির্বাচিত পুর-বোর্ড ক্ষমতায় থাকলে যেভাবে প্রতিনিয়ত শহরের মানুষের সঙ্গে নেতাদের যোগাযোগ হয়ে থাকে, সেখানে খানিকটা হলেও ভাটা পড়েছে। তার মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন এসে গিয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম দিকে দুবরাজপুরে ব্লক ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শুধু দুবরাজপুর শহর থেকেই ১৫ হাজার লিডের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন স্থানীয় নেতাদের। নেতারা মঞ্চে তাতে সম্মতিও দিয়েছেন।
কিন্তু আড়ালে এলাকার তৃণমূল নেতারা মানছেন, এই লিড দেওয়া মোটেও মুখের কথা নয়। বিশেষ করে শহরে যখন বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। বাজার এলাকায় তো বটেই, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিজেপি ভাল অঙ্কের ভোট পাবে বলেই মনে করছে শাসকদল। সেই খামতি মিটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই সম্প্রতি কর্মশালা করেছিল শহর তৃণমূল। দুবরাজপুরের রবীন্দ্রসদনে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে হওয়া ওই কর্মশালায় কোন পথে এগোলে লিডের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব, শহরের ১৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটি থেকে বাছাই ২০ জন করে কর্মীকে ডেকে সে কথাই বুঝিয়েছিলেন দলের নেতারা। কর্মীদের প্রতি পরামর্শ ছিল, প্রতিটি বাড়িতে যান। কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে শুধরে নিন। মানুষকে বোঝান, তাঁদের সঙ্গে শাসকদল আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ বার সরাসরি তারকা প্রার্থীকে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষের সামনে হাজির করানোর লক্ষ্য নিয়েছে দল। শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলছেন, ‘‘১ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য যৌথভাবে একটি সভা হবে। বাকি সব ক’টি ওয়ার্ডের জন্য পৃথক সভা হবে প্রার্থীর সমর্থনে।’’ বিকেল থেকে রাত— শনিবার ৮টি এবং রবিবার ৭টি সভায় নিজের বক্তব্য পেশ করবেন শতাব্দী রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy