Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

‘মাস্ক’ ছাড়া পথে, চলল তাড়া-ধমক

সকাল ১০টা। বাঁকুড়া শহরের কলেজমোড় এলাকা। দেখা গেল, ‘মাস্ক’ না পরে বেরনো বহু মোটরবাইক আরোহীকে আটকে ধমক দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। শহরের দোলতলা এলাকায় একটি ওষুধ দোকানে এক মাঝবয়সি মহিলা ‘মাস্ক’ না পরেই ওষুধ কিনতে চলে এসেছেন।

আটকে: বুধবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে। ছবি: শুভ্র মিত্র

আটকে: বুধবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে। ছবি: শুভ্র মিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০২:২০
Share: Save:

‘লকডাউন’ চলছে। তাতে কী! লোকজন ‘মাস্ক’ ছাড়াই বেরিয়ে পড়েছেন। দেখা গিয়েছে গাড়ি-মোটরবাইক। পাল্লা দিয়ে চলেছে পুলিশের তাড়া, ধমকও। বুধবার বাঁকুড়া শহর ও জেলার নানা জায়গায় ঘুরেফিরে চোখে পড়েছে এমনই ছবি। জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওয়ের প্রতিক্রিয়া, “লকডাউনে জেলার পরিস্থিতির উপরে পুলিশের নজর ছিল। নিয়ম ভেঙে যাঁরা বাইরে বেরিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

সকাল ১০টা। বাঁকুড়া শহরের কলেজমোড় এলাকা। দেখা গেল, ‘মাস্ক’ না পরে বেরনো বহু মোটরবাইক আরোহীকে আটকে ধমক দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। শহরের দোলতলা এলাকায় একটি ওষুধ দোকানে এক মাঝবয়সি মহিলা ‘মাস্ক’ না পরেই ওষুধ কিনতে চলে এসেছেন। ‘মাস্ক’ কেন পরেননি? জবাব এল, “বাড়ির সামনেই তো বেরিয়েছি। দূরে গেলে ‘মাস্ক’ পরতাম।’’ ওই ওষুধ দোকানের মালিক চন্দন নন্দী জানালেন, বহু ক্রেতাই ‘মাস্ক’ ছাড়া, দোকানে আসছেন। সচেতন করা হলেও অনেকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। শহরে করোনা রোগী বাড়ছে। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষের হুঁশ ফিরছে না।

এ দিন শহরের বিভিন্ন মোড়ে বহু মোটরবাইক আরোহীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ‘মাস্ক’ ছাড়া বেরনো অনেককে বাড়ি যেতে বাধ্য করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি টহলও চললেও শহরের ইতিউতি লোকজনের জটলা ও আড্ডাও দেখা গিয়েছে সমান তালে। একই ছবি দেখা গিয়েছে বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, খাতড়াতেও। এলাকাগুলিতে দিনভরই পুলিশি টহল ছিল। কিছু জায়গায় পুলিশকর্মীরা জটলা করা লোকজনদের বাড়ি পাঠান। যদিও পুলিশ সরতেই ফের জটলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে সহ-নাগরিকদের একাংশের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরের স্বাস্থ্য-সচেতন নাগরিকেরা।

বাঁকুড়া আদালতের প্রবীণ আইনজীবী তথা জেলা কংগ্রেস নেতা অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় করোনা-সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতেই ‘লকডাউন’। অথচ, মানুষজন তা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন নন।” বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকারও বলেন, “‘লকডাউন’ নিয়ে সর্ব স্তরে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আক্ষরিক অর্থে তা সফল করতে এর উদ্দেশ্য নিয়ে আরও প্রচার করতে হবে।” রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “রাজ্য সরকার নানা ভাবে মানুষজনকে সচেতন করছে। এ নিয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরও সক্রিয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE